ফিল্মের রাজনীতির সঙ্গে পেরে উঠছিলাম না : আচল
২০১১ সালে ‘ভুল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল আঁচলের চলচ্চিত্র যাত্রা। তারপর ‘বেইলী রোড’, ‘জটিল প্রেম’, ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’, ‘ফাঁদ’, ‘আজব প্রেম’সহ গত পাঁচ বছরে প্রায় দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার বেশির ভাগ ছবির বিরুদ্ধেই ছিল নকল, অশ্লীলতাসহ নানা অভিযোগ। তারপরও ‘জটিল প্রেম’ ও ‘কিস্তিমাত’ আঁচলকে পৌঁছে দেয় ভিন্ন এক মাত্রায়। কিন্তু গেল বছরের শেষ দিকে এসে তিনি যেন খেই হারিয়ে ফেলেন। একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে থাকেন। ডুবে যান হতাশায়। এক পর্যায়ে ঢাকা ছেড়ে নিজ শহর খুলনায় চলে গেছেন বলেও খবর বের হয়। কিন্তু সম্ভাবনায়ম এই নায়িকা এত সহজে হেরে যাওয়ার পাত্রী নন। তাই আবারো নতুন করে শুরু করেছেন। সম্প্রতি এফডিসিতে ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ ছবির শেষ লটের শুটিংয়ে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেখানেই বাংলামেইলের মুখোমুখি হয়েছিলেন এ নায়িকা…
খুব ব্যস্ত?
না, আগের মতো ব্যস্ত নই। এই ছবির (সুলতানা বিবিয়ানা) পাশাপাশি ‘দাগ’ নামে আরেকটি ছবির কাজ করছি। তবে নতুন কয়েকটি ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পাচ্ছি। দেখা যাক কি হয়।
হঠাৎ করেই আপনার ছবির সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী?
ভালো ছবির সংখ্যাই তো কমে গিয়েছে। সেখানে আমার ছবি তো কমবেই। তাছাড়া মাঝে আমিও কিছু দিনের জন্য চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলাম। যে কারণে নতুন ছবির সংখ্যা কম।
সবশেষ গেল বছর আপনার অভিনীত ‘এপার ওপার’ মুক্তি পেয়েছিলো। সেই ছবিতে কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?
ছবির নাম থেকেই বোঝা যায়, এটা ছিলো নদীর দুই পাড়ের মানুষের গল্প। ছবিটি ঝন্টু ভাই অনেক যত্ন করে বানিয়েছিলেন। গল্পটা আসলে পুরোনো। দর্শক এর আগে এ ধরনের গল্প অনেক দেখেছে। আর এ কারণেই হয় তো খুব একটা ব্যবসা সফল হয়নি।
আপনার সবচেয়ে সফল ছবি ‘জটিল প্রেম’। ছবিটি এমন সফলতার পেছনের কী কারণ?
আসল কথা হচ্ছে ‘জটিল প্রেম’ বড় বাজেটের ভালো গল্পের ছবি। ভালো ভালো শিল্পীও ছিল। তাছাড়া এই ছবির নায়ক বাপ্পির সঙ্গে আমার জুটিটি দর্শকও পছন্দ করেছিল। এসব কারণেই মূলত সফলতা এসেছে।
চলতি বছরের শুরুতে ‘রাজাবাবু’, ‘বাদশা’ ও ‘মিশন আমেরিকা’ নামে পর পর তিনটি ছবি থেকে আপনাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো। এর পেছনে কী কারণ ছিলো?
প্রত্যেকটি ছবিতেই আমাকে নির্বাচন করার পর চুক্তিও হয়েছিলো। সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরিও করছিলাম। কিন্তু একেবারে অপ্রত্যাশিত ভাবে আমাকে বাদ দেয়া হয়। এর পেছনে কী কারণ তা এখনও জানি না। তবে এটা ঠিক, ফিল্মে প্রচুর রাজনীতি, এসবের সঙ্গে পেরে উঠছিলাম না।
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য কী প্রয়োজন?
বেশির ভাগ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই নির্দিষ্ট নায়ক বা নায়িকা নিয়ে কাজ করে। অর্থ্যাৎ ঘরের শিল্পী ছাড়া অন্য কাউকে নিচ্ছে না। এটা বন্ধ করতে পারলে, ভালো ভালো শিল্পী তৈরি হতো। যার ফলে চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসা করতে পারত।
ঈদে আঁচলের দেখা মিলবে কী?
২০১৪ সালের ঈদে আমার অভিনীত ‘কিস্তিমাত’ মুক্তি পেয়েছিল। তখন ছবিটি বেশ আলোচিত হয়েছিল। তারপর আর কোন ঈদে আমার ছবি মুক্তি পায়নি। তবে এবারের ঈদে ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেই টানা কাজ করে ছবিটির শেষ করতে চান পরিচালক। কারণ ঈদের ছবিগুলো নিয়ে দর্শকদের আলাদা আগ্রহ থাকে। ফলে ব্যবসা সফলও হওয়া যায়। আর নায়িকা হিসেবে ঈদের ছবি দিয়ে বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়।
Related Posts
Comments
comments