সুখবর! করোনার চিকিৎসায় ভিটামিন-সি ব্যবহারে মিলছে সুফল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। সাতশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। তাদের অধিকাংশই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সুখবর জানালো নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলো। তারা ভিটামিন-সি দিয়ে করোনা রোগীর চিকিৎসা করছেন। আর এতে ভালো ফলও পাচ্ছেন করোনার রোগীরা।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, নিউইয়র্কের যেকোনো হাসপাতালে রোগী নিয়ে গেলেই উচ্চ মাত্রার (এক্সট্রেমলি হাই ডোজ) ভিটামিন-সি দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। বেশি করে খেতে বলা হয়েছে। দিনে তিন থেকে চার বার ভিটামিন-সি খাওয়ানো হচ্ছে।
দেশটির লঙ আইল্যান্ডের নর্থওয়েল হেলথ ফ্যাসিলিটিজের পুলমনোলোজিস্ট অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট ড. অ্যান্ড্রু জি ওয়েবার বলেন, করোনায় আক্রান্ত ইনটেনসিভ কেয়ারের রোগীরা এখন পর্যন্ত এক হাজার পাঁচশ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন-সি গ্রহণ করেছেন। আবার ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি হলে ফের এই মাত্রার ভিটামিন-সি দেওয়া হচ্ছে। এতে ভালো সুফল মিলছে।
এই চিকিৎসা ব্যবস্থাটি চীনের শাংহাইয়ে শুরু হয়। তাও আবার পরীক্ষমূলকভাবে। কিন্তু এই পদ্ধতিটি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভালো কাজও করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি সত্যিই ভালো কাজ করছে। একজন পুরুষ রোগীকে ৯০ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন-সি দেওয়া হচ্ছে। আর একজন নারী রোগীকে দেওয়া হচ্ছে ৭৫ মিলিগ্রাম করে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দেওয়া ডোজের থেকে এই ডোজে ১৬ গুণ বেশি থাকে ভিটামিন-সি এর পরিমাণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এই ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করা। কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা যাবে। অ্যান্ড্রু জি ওয়েবার বলেন, যাদেরকে ভিটামিন-সি দেওয়া হয়নি তাদের থেকে ভালো আছেন যাদের ভিটামিন-সি দেওয়া হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হতে এই ওষুধটি ভালো কাজ করছে। কিন্তু এটি নিয়ে কেউ কিছুই বলছে না; কারণ এটি কোনো ধরনের ‘সেক্সি’ ওষুধ নয়।
নর্থওয়েলের মুখপাত্র জেসন মলিনেট জানিয়েছেন, করোনার চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিটামিন-সি। কিন্তু ওষুধের প্রোটোকল এক রোগী থেকে অন্য রোগীর বিভিন্ন রকমের হয়। এখন পর্যন্ত সাতশ রোগীর চিকিৎসায় ভিটামিন-সি ব্যবহার করা হয়েছে। যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের অবস্থা আগের তুলনায় একটু ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি