১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

More results...

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ

মিষ্টি আলু রাঙ্গা আলু নামেও পরিচিত। বেগুনী, লাল, হালকা হলুদ অথবা সাদা রঙের হয় মিষ্টি আলু। এতে ভিটামিন ও খনিজ   উপাদান থাকে। দ্রুত শক্তি প্রদান করতে পারে মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুর বেশি খাওয়া উচিৎ যে  কারণে সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন:

১। ইমিউন সিস্টেম: বিটা ক্যারোটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ মিষ্টিআলু। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন এবং ফসফরাসও থাকে। তাই বলা যায় যে, মিষ্টি আলু ইমিউন সিস্টেমের জন্য উপকারী এবং বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

২। প্রদাহ: গোল আলুর মত মিষ্টি আলুতেও প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যদিও এরা সাধারণ আলুর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতির কারণেই সম্ভবত মিষ্টি আলুর প্রদাহরোধী ভূমিকা দেখা যায়। অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় ধরণের প্রদাহ কমাতেই অত্যন্ত কার্যকরী মিষ্টি আলু।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

৩। অ্যাজমা: ফুসফুস, শ্বাসনালী এবং নাকের জমাটবদ্ধতা নিরাময়ে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। ফলে অ্যাজমার উপশম হয়।

৪। ব্রংকাইটিস: ভিটামিন সি, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ব্রংকাইটিস নিরাময়ে সাহায্য করে। মিষ্টি আলু শরীরকে উষ্ণ হতে সাহায্য করে। সম্ভবত এর মিষ্টত্ব এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে।

৫। আরথ্রাইটিস: বিটা ক্যারোটিন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এর উপস্থিতির কারণে মিষ্টি আলু আরথ্রাইটিস মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মিষ্টি আলু সিদ্ধ করা পানি অস্থিসন্ধিতে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমে।

৬। পরিপাক: সাধারণ আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে এবং স্বাদেও ভালো। এতে ম্যাগনেসিয়াম নামক খনিজ উপাদানটিও থাকে বলে মিষ্টি আলু হজম সহায়ক একটি খাবার। এছাড়াও এতে স্টার্চ থাকে যা পাকস্থলী ও অন্ত্রকে শীতল করতে পারে।

৭। ক্যান্সার: মিষ্টি আলুর খোসার রঙের জন্য দায়ী বিটা ক্যারোটিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান। বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার নিরাময়ে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী যা মিষ্টি আলুতে থাকে।

৮। পাকস্থলীর আলসার: পাকস্থলী ও অন্ত্রে শীতলিকারক প্রভাব ফেলতে পারে মিষ্টি আলু। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন  সি, বিটা ক্যারোটিন, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম পাকস্থলীর আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এসিড তৈরি হওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর প্রদাহরোধী এবং শীতলিকারক উপাদান পাকস্থলীর আলসারের ব্যথা ও প্রদাহ কমতে সাহায্য করে।

৯। ডায়াবেটিস: মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও উপকারী, যা সাধারণ বিশ্বাসের বিপরীত একটি বিষয়! আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, মিষ্টি আলু ইনসুলিনের নিঃসরণ ঠিকমত হতে সাহায্য করার মাধ্যমে রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর অর্থ এই নয় যে, ডায়াবেটিকে আক্রান্তরা ইচ্ছেমত খেতে পারেন মিষ্টি আলু। ভাত অথবা অন্য শর্করা জাতীয় খাবারের পরিবর্তে মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

১০। পানির ভারসাম্য: মিষ্টি আলুর আঁশ শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে, হাইড্রেটেড রাখে এবং কোষের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

১১। ওজন বৃদ্ধি: মিষ্টি আলুতে জটিল স্টার্চ, ভিটামিন, খনিজ এবং কিছু আমিষ ও থাকে। মিষ্টি আলু খুব সহজেই হজম হয়ে যায় এবং প্রচুর শক্তি প্রদান করতে পারে। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা নিশ্চিন্তে মিষ্টি আলু খেতে পারেন। কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

Comments

comments