সহবাসে বাধ্য করেছে কাজিন, বয়ফ্রেন্ডও তার বন্ধুকে দিয়ে প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে
আমি ১৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে। আমার বয়ফ্রেন্ড আমার চেয়ে ৫ বছরের বড়। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমরা পরস্পরের প্রেমে পড়ি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের ভালোবাসা ছিল যৌনতাহীন এবং আদর্শমূলক। কিন্তু এরপর আমার সহবাস শুরু করি।
আমার পরিবার আমার এই সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানতো না। কিন্তু কয়েক মাস আগে আমার এক কাজিন আমার প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারে। সে আমার অনুপস্থিতিতে আমার ফোনটি চেক করে প্রেমিকের সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি দেখতে পায়। এরপর থেকে ওই কাজিন আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। সে আমাকে হুমকি দেয় আমার পরিবারের কাছে সব ফাঁস করে দেবে।
আমি তাকে আমার গোপন সম্পর্কের কথা ফাঁস করা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই সে বশ মানছিল না। অবশেষে আমি তাকে আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কের বিনিময়ে আমার প্রেমের সম্পর্ক গোপন রাখার প্রস্তাব দেই। এতে সে রাজি হয়।
ওদিকে আমার প্রেমিককে আমি এসবের কিছুই জানাইনি। কিন্তু ৩ সপ্তাহ আগে এবার আমার প্রেমিকও কাজিনের সঙ্গে আমার দৈহিক সম্পর্কের কথাটি জানতে পারে। প্রেমিকের কাছে আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু এবার সে আমাকে তার এক বন্ধুর সঙ্গে দৈহিক মিলনের প্রস্তাব দেয়। আর তার বিনিময়ে আমাকে ক্ষমা করা হবে বলে আশ্বাস দেয়।
এখন আমি পুরোপুরি দিশেহারা এবং আমার মাথা ফাঁকা হয়ে গেছে। আমি আমার বয়ফ্রেন্ডেকে ভালোবাসি এবং তাকে কখনো ত্যাগ করতে পারব না। আমি স্বীকার করি যে কাজিনের সঙ্গে সহবাস করাটা মারাত্মক ভুল হয়েছে। কিন্তু এ ছাড়া আমার আর কোনো উপায়ও ছিল না। কিন্তু এখন প্রেমিকের বন্ধুর মতো একজন পুরোপুরি অপরিচিত লোকের সঙ্গে সহবাস করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
দয়া করে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহায়তা করুন। আমার মনে হচ্ছে, জীবনটা শেষ করে দিলেই হয়ত এই সমস্যা থেকে আমার মুক্তি মিলবে।
উত্তর দিচ্ছেন মনোচিকিৎসক ড. পারুল তঙ্ক
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনাকে ফাঁদে ফেলে আপনার কাছ থেকে যৌন ফায়দা লোটার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো আপনার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি কঠিন দেয়াল টেনে দিন। যে প্রেমিক আপনাকে তার বন্ধুর সঙ্গে দৈহিক মিলনের জন্য চাপ দেয় তার মধ্যে আপনার জন্য আসলেই কোনো সম্মানবোধ নেই। আর সে আপনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে আরো ঠকাতে চাইবে। আর এখনই এহেন খারাপ প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন কিনা সে ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। ব্ল্যাকমেইলের ওপর ভিত্তি করে সুস্থভাবে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আর বিষয়টি নিয়ে যদি আপনার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কাজ করে তাহলে শিগগিরই কোনো মনোচিকিৎসকের কাছে যান। মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আপনি সহজেই এই দুঃসহনীয় পরিস্থিতি থেকে হয়তো সহজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া