করোনায় হবু মায়েদের যা করণীয়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, এমনকী গর্ভবতী নারীরাও এই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। অনেক নবজাতক শিশুর দেহেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এই সময়ে হবু মায়েদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। লকডাউনের সময় শরীর ও মন ভালো রাখতে হবু মায়েরা কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
চিকিৎসকের চেম্বারে যাতায়াত কম: এখন সব চিকিৎসককেই ফোন, হোয়্যাটসঅ্যাপ বা ভিডিও কলে পাওয়া যায়। এ কারণে যেকোন ধরনের সমস্যা বোধ করলে ফোনে সেটা চিকিৎসককে জানান। খুব জরুরি না হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ায় দরকার নেই।
সব রকম ব্যবস্থা রাখুন: অনেক হাসপাতালই সংক্রমণের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে কয়েকটি হাসপাতালের খোঁজ নিয়ে রাখুন। বিশেষ করে যেসব অন্তঃসত্ত্বা নারী অল্প কিছুদিনের মধ্যে সন্তান প্রসব করবেন সেই পরিবারের এই খোঁজ রাখাটা জরুরি।
সচেতন থাকুন: নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকুন। সময়ের আগেও সন্তান প্রসব হতে পারে। হবু মায়েরা এই সময় সামাজিক মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কারণ এসব মাধ্যমের ভুয়া খবর আপনাকে আতঙ্কিত করতে পারে। শরীর-মন সুস্থ রাখতে এই সময় অন্য ভালো কাজে মনোযোগ দিন। খারাপ খবর থেকে মনকে সরিয়ে রাখুন।
কাজের মধ্যে থাকুন: হবু মায়েরা এই সময় প্রতিদিন ঘরের মধ্যেই ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি মেডিটেশন করুন। অনলাইন পেরন্টিং ক্লাস করতে পারেন। এছাড়াও আপনার শরীর ঠিক থাকলে বাড়ির অন্য কোন কাজ করতে পারেন।
সুষম খাবার খাওয়া জরুরি: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইট্রেট জাতীয় খাবার রাখুন। প্রতিদিন অবশ্যই দুটি করে ফল খাবেন। অনাগত শিশুর পুষ্টির জন্য এই সময় প্রোটিন খুবই দরকার। এ কারণে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, ডিম, চিজ রাখতে পারেন। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান: বাড়ির সকলের সঙ্গে সময় কাটান। গল্প করুন। স্বামীর সঙ্গে বেশি সময় কাটান। কোনো ধরনের মানসিক সমস্যা হলে তার সঙ্গে শেয়ার করুন।
ভালো সময় আসছে: অযথা চিন্তা করে নিজেকে অসুস্থ করবেন না। মনে রাখবেন, ভালো সময় আসবেই। নিজের মতো ডায়েরি লিখুন।
যা যা খাবেন না: এই সময় হবু মায়েরা কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, অ্যালকোহল, তামাক, কফি, অতিরিক্ত মিষ্টি, কাঁচা ডিম, সামুদ্রিক খাবার খাবেন না। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
সূত্র: সমকাল