জরুরি দরকারে মাতৃযান ডাকুন
একে ঋতু বদল, তার উপরে করোনার হানা। ‘লকডাউন’ হওয়ার ফলে সকলে মিলে গৃহবন্দিও। চট করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উপায় নেই। তাই এখন কী করবেন, কী করবেন না— এই নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রইল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ।
লকডাউনে চিকিৎসা পরিষেবা মিললেও খুব জরুরি ছাড়া কেউ হাসপাতালমুখী হতে চাইছেন না। চিকিৎসকেরাও সেই কথাই বলছেন। এই পরিস্থিতিতে ঘরে থেকে গর্ভবতীরা কী ভাবে নিজেদের যত্ন নেবেন তা নিয়ে পরামর্শ দিলেন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন মুস্তাফি।
•এই মুহূর্তে যেটা অত্যন্ত জরুরি তা হল ঘরে থেকে নিজেদের সুস্থ রাখা।
•গর্ভবতীদের আগে রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হতো। প্রথম তিন মাসে এক বার, তার পরের সাত মাস পর্যন্ত মাসে দু’বার এবং তার পর থেকে সপ্তাহে এক বার করে। এখন সেই চেকআপ না করার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ, এই মুহূর্তে রুটিন চেকআপ করার জন্য হাসপাতালে আসার একদমই প্রয়োজন নেই। গর্ভবতীদের এই সময় ভিড় এড়িয়ে চলা খুব দরকার।
•কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে আসতে হলে ‘১০২’ নম্বরে ফোন করলেই মাতৃযান বাড়িতে পৌঁছে যাবে। তাতেই তাঁরা হাসপাতালে আসতে পারবেন। হাসপাতালে তাঁদের উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। গর্ভবতীদের এখন ‘রেফার’ বা ‘রিফিউজাল’ কোনওটাই করা হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে ‘সিজার’ করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ীই কাজ করা হচ্ছে।
•এখন বাজারে খুব বেশি যাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে পুষ্টিকর আনাজেরও অভাব রয়েছে। তবুও তার মধ্যে যতটা সম্ভব প্রোটিন জাতীয় খাবার, আনাজ তাঁদের খেতে হবে৷ সঙ্গে প্রচুর জলও৷ দিনে তিন বার, সকাল, দুপুর ও রাতে গরম জল দিয়ে গার্গল করতে হবে।
•এই সময় কোনও গর্ভবতীকেই অন্য কোনও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না৷ যে আয়রন, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে সেটাই বাড়িতে খাবেন৷
•খাবারের আগে, পরে হাত স্যানিটাইজ়ার দিয়ে পরিষ্কার করুন। মাস্ক পড়ে থাকুন।