পটাশিয়ামে ভরপুর সাত খাবার
দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম পটাশিয়াম। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যেসব খনিজ প্রয়োজন তার মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পটাশিয়াম। এটি মাংসপেশি এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা সচল রাখতে সাহায্য করে। কলা ছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পটাশিয়ামের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
পালংশাক
পুষ্টিতে ভরপুর পালংশাক। তাই একে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পরিমাণ পালংশাকে ৫৫৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
বীটরুট
বীটরুট আজকাল অনেকে খেয়ে থাকেন। সালাদ হিসেবে খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। নানাবিধ উপকারি উপাদানে পরিপূর্ণ সবজি এটি। রান্না বা সেদ্ধ বিটরুট পটাশিয়ামের শক্তিশালী উৎস। এজন্য সম্ভবত ক্রীড়াবিদরা বীটরুট খেয়ে থাকেন। এককাপ পরিমাণ বীটরুটে ৫১৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
কালো শিমের বিচি
কালো শিমের বিচি উচ্চমাত্রার ভক্ষণযোগ্য ফাইবার, প্রোটিন এবং আরো নানা ধরনের পুষ্টির আধার। কালো সিমের মধ্যে শুধু ফাইবার বা প্রোটিন নয়, অনেক পটাশিয়ামও রয়েছে এই খাবারে।
টমেটো সস
টমেটো সস পটাশিয়ামের ভালো উৎস হতে পারে। এমনিতেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনন্য এই সব। তিন টেবিল চামচ পরিমাণ টমেটো সসে ৪৮৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের সরবরাহ থাকে।
আলু
আলুর পুষ্টিগুণ অনেক। কেবল মিষ্টি আলুতে নয়, সাদা আলুতেও পটাশিয়াম রয়েছে। একটি মাঝারি আকারের আলুতে ৫১৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে।
অ্যাডামাম
এগুলো এক ধরনের সয়াবিন যা ঐতিহ্যগতভাবে জাপানে খাওয়া হয়। এগুল্র ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের একটি ভালো উৎস। এক কাপ অ্যাডামামে ৬৭৬ মিলিগ্রামের বেশি পটাশিয়াম থাকে।
ইয়োগার্ট
ইয়োগার্ট একপ্রকার দই জাতীয় খাবার যা পটাশিয়ামে ভরপুর। এক কাপ ইয়োগার্টের মধ্যে ৫৭৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস