সবার আগে ব্রেসিয়ার..
বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়, অধিকাংশ নারীরাই তাদের অর্থের বেশির ভাগটাই ব্যয় করেন জুতা, পোশাক আর প্রসাধনে। সামান্য অংশ ব্যয় হয় বক্ষবন্ধনীর পেছনে। কিন্তু ‘বাটারকাপস’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অর্পিতা গনেশের মতে, নারীদের ওয়ার্ডরোবসের বড় অংশজুড়ে সংগ্রহে থাকা উচিত ব্রা। কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ব্রেসিয়ার?
অন্যান্য পোশাকের মতোই ব্রায়ের পেছনে করা হয়েছে বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা। অথচ তা ক্লসেটের একটা কোণায় পড়ে থাকে অবহেলায়। গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনের মোটামুটি ১৬ ঘণ্টা এই জিনিসটি পরে থাকতে হয় নারীদের। বছরে ৫৮৪০ ঘণ্টা। কাজেই স্বাস্থ্যকর সৌন্দর্য ও আরামের জন্য ব্রেসিয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম।
নারীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তারা ব্রা কিনতে যেতে পছন্দ করেন না। কিনলেও কেবল সুন্দর রং ও নকশা দেখে কিনে ফেরেন। কিংবা সাইজ অনুযায়ী যেকোনো একটি পছন্দ করেন। কিন্তু যারা জানেন না, কেবল এসব দেখে ব্রা কিনলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আরামদায়ক ফিটিংয়ের চেয়ে নারীরা এসব বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
অনেক সময়ই দেখা যায়, স্বাস্থ্য কম-বেশি হওয়ার কারণে পুরনো কাপড় আর ফিট হয় না দেখে। তখন সবাই এগুলো বদলে ফেলে? কিন্তু একই কাজটা কেন ব্রায়ের ক্ষেত্রে করা হয় না? দেহের যেকোনো অংশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পোশাক বদলানো হয়। একই ঘটনা স্তনের ক্ষেত্রেও ঘটে। কিন্তু ব্রায়ের আকার পরিবর্তন হয় না। এসব ব্রায়ে নারীর সৌন্দর্যহানি ঘটে। তেমনই তা পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই সঠিক সাইজ ও আরামদায়ক ব্রায়ের পেছনে পয়সা ব্যয়ের সময় হয়েছে।
বাজারে অনেক ধরনের ব্রা রয়েছে। একেক পোশাকের জন্য একেক ধরনের ব্রা শোভনীয়। তাই পোশাক অনুযায়ী বক্ষবন্ধনী কেনা দরকার। অনেক সময়ই এত ছোট একটি পোশাক গুরুত্ব পায় না। কিন্তু নারীরা ভুলে যান যে, প্রতিদিন এই জিনিসটি ছাড়া চলে না। কাজেই টেকসই ও আরামদায়ক কাপড়ে বানানো ব্রা ব্যবহার করতে হবে। অনেক নামি ব্র্যান্ড বছরের পর বছর ব্রা নিয়ে গবেষণা করেছে। একে স্বাস্থ্যকরভাবে বানাতে সক্ষম হয়েছে। এতে নারীকে যেমন সুন্দর দেখাবে তেমনই দেবে স্বাচ্ছন্দ্য।
প্রত্যেক নারীর তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। মানানসাই এবং পরতে আরাম লাগে এমন ব্রা বেছে নিতে হবে। এটা নারীর পোশাক-পরিচ্ছদের মৌলিক অংশ।