গবেষণা বলছে সাবধান! ফয়েল ব্যবহারে শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ
বাড়িতে খাবার তৈরি করে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে প্যাক করে সযত্নে রেখে দেন। খাবার যাতে নষ্ট না হয়, সে কথা ভেবে ফয়েল প্যাক করেই টিফিন দিয়ে দেন বাড়ির লোককে। আর রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনলে সেই খাবার তো হামেশাই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে প্যাক করে দেওয়া হয়।
কিন্তু আপনি জানেন না যে এই ফয়েলই আপনাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ফয়েলের ব্যবহারে খাবার ভাল থাকছে ঠিকই, কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরে প্রবেশ করছে বিষ। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম হল এক ধরণের ‘নিউরোটক্সিক হেভি মেটাল’। যার অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে ‘অ্যালজাইমার্স’ জাতীয় রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারে। এই ধরণের ধাতুর প্রভাবে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটতে পারে। হারিয়ে যেতে পারে মস্তিষ্কের ভারসাম্য, নিয়ন্ত্রণ। স্মৃতিভ্রমও ঘটতে পারে এই ধাতুর অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে।
শুধু মস্তিষ্কই নয়, শরীরের হাড়েও এই ধাতু মারাত্বক প্রভাব ফেলতে পারে। হাড়ের ভিতরে এই ধাতু প্রবেশ করার ফলে, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে হাড়। এমনকী অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে থাকা খাবার দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে এই ধাতব কণা ফুসফুসে প্রবেশ করে। যার ফলে পরবর্তীকালে ‘পালমোনারি ফাইব্রোসিস’-এর মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দেখা দেয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ধরণের মারাত্বক রোগগুলি তখনই আরও বেশি হয়, যখন অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রান্না করা হয় কিংবা গরম খাবার ফয়েলে প্যাক করা হয়। কেননা উচ্চ তাপমাত্রায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রান্না করা হলে ধাতব কণা খাদ্যে প্রবেশ করে।
শারজার আমেরিকান ইউনিভার্সিটির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক, এসাম জুবাদি সম্প্রতি এই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, দিনের একটি মিল যদি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রান্না করা হয়, তবে সেই খাবারে ৪০০ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম মেশে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, কখনই দৈনিক ৬০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যালুমিনিয়াম শরীরে প্রবেশ করা উচিৎ নয়।
গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে টমেটো, লেবু প্রভৃতি সাইট্রাস জাতীয় খাবার কিংবা মশলাদার খাবার রান্না করলে, সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় শরীরের।