করোনার চিকিৎসায় আশার আলো অস্ট্রেলিয়ার এই ওষুধে!
মারণ ভাইরাস করোনার দাপটে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। প্রতিদিনই শত শত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। এখনো কোনো ধরনের ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। তবে করোনার চিকিৎসায় অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষামূলক একটি ওষুধ নতুন আশার আলো সঞ্চার করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হলে রক্ত জমাট বেঁধে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, ব্রেনস্ট্রোক, হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই ওষুধ করোনা আক্রান্তের ওই রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকাবে, পরিণামে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবেন হাজার হাজার রোগী। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি ও হার্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রফেসর শন জ্যাকসনের নেতৃত্বে রক্ত জমাট প্রতিরোধী এ ওষুধের গবেষণা চলছে।
প্রফেসর শন জ্যাকসন বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে থাকা প্রত্যেক চারজন রোগীর মধ্যে গড়ে তিনজনেরই রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া ও সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষমতা লোপ পেতে দেখা যায়। আমাদের ওষুধটি যদি অনাকাঙ্ক্ষিত এই রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে পারে, তাহলে গুরুতর হাজার হাজার রোগীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়া ও মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।
করোনার সম্ভাব্য এ ওষুধের প্রথম ধাপের ট্রায়াল সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। এই ধাপে ৭২ জন করোনা রোগীর শরীরে এ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। শিগগিরই ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে গবেষক দলটি। এ ধাপে গুরুতর রোগীদের শরীরে এ ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা হবে। জ্যাকসন বলেন, ট্রায়াল শেষে সাফল্য নিশ্চিত হলে কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা এ ওষুধ বাজারে দিতে পারবো। আশা করছি রক্ত জমাট প্রতিরোধী এ ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসকরা বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার করোনা রোগীর জীবন বাঁচাতে পারবেন।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী ৭৬ লাখ ৩৫ হাজার দু’শ ৪৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ২৪ হাজার সাতশ ছয়জন মানুষ। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ছয়শ সাতজন মনুষ সুস্থ হয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্ল্ডোমিটার।