৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

মেয়েদের মাসিক হবার পূর্বে যেসব লক্ষণ দেখা দেয় জেনে নিন !!!

Premenstrual syndrome-কে সংক্ষেপে PMS বলা হয়। বিশ্বের ৮৫ ভাগ নারী পি এম এস জণিত সমস্যায় ভোগেন। নাম পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে পি এম এস কি! কিন্তু এ সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত জানা জরুরী। শুধু নারীর জন্য নয়, পুরুষ সঙ্গীটিরও জানতে হবে।
কারণ পি এম এস এর ক্ষেত্রে নারীর শারীরিক অবস্থার সাথে তার মানিসিক পরিবর্তনও জড়িত। তাই বুঝতে হলে জানতে হবে।
পি এম এস কী?
নারীর মাসিকের সাইকেলের সময় বিশেষ করে মাসিকের আগের কিছুদিন প্রিমেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রম বা পি এম এস এর প্রভাব দেখা যায়। মাসিকের ৫-১১ দিন আগে থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় এর প্রভাব পরের বার মাসিক শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে। এর কারণ আসলে এখনও অজানা।
তবে অনেক গবেষক ধারণা করেন, মাসিক চক্রের সময়ের হরমোন মাত্রার পরিবর্তনের কারণে এরকম হয়ে থাকে। এস্ট্রোজেন এবং প্রগেস্টেরনের মাত্রাও বেড়ে যায় এসময়। হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে যখন তখন মেজাজ খারাপ হওয়া, উদ্বিগ্নতা, বিরক্তি তৈরী হতে পারে।
যেসব ঝুঁকি থাকে-
ডিপ্রেশন অথবা মুড ডিসঅর্ডার হতে পারে। বিপোলার ডিসঅর্ডার হতে পারে।
লক্ষণ-
গড়ে ২৮ দিন অন্তর একজন নারীর মাসিক হয়। ১৪ দিন পরেই পি এম এস দেখা দিতে পারে এবং মাসিকের ৭ দিন পর পর্যন্ত থাকতে পারে। এর লক্ষণগুলো হালকা বা তীব্র উভয়ই হতে পারে। আবার ব্যক্তিবিশেষে এমনকি মাসে মাসে ভিন্ন হতে পারে।
এগুলো হল-
০১। অস্বাভাবিক ব্লোটিং এবং ব্যাথা,
০২। স্তন ব্যাথা,
০৩। ব্রণ,
০৪। অত্যধিক ক্ষুধা, বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে চাওয়া,
০৫। কোষ্ঠকাঠিন্য,
০৬। ডায়রিয়া,
০৭। মাথা ব্যাথা,
০৮। আলো বা শব্দে বিরক্তি,
০৯। অবসাদ,
১০। অস্বস্তি,
১১। ঘুমের ধরণ বদলে যাওয়া,
১২। উদ্বিগ্নতা,
১৩। বিষণ্ণতা বা দুঃখবোধ,
১৪। হঠাৎ রেগে যাওয়া;
কখন ডাক্তার দেখানো উচিৎ?
যদি শারীরিক যন্ত্রণা, মেজাজ ঠিক না থাকা এবং অন্যান্য লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দীন জীবনকে ব্যাহত করতে থাকে এবং দীর্ঘদিন ধরে এরকম চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। পি এম এস একটি স্বাভাবিক শারীরিক সমস্যা, কিন্তু দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এটি স্থায়ীভাবে বিষণ্ণতা বা মুড ডিসঅর্ডারের কারণ হতে পারে।
তবে পরিবারে আগে কারও বিষণ্ণতা বা হতাশা ব্যাধি থেকে থাকলে তার প্রভাব আপনার উপর থাকতে পারে। আবার হাইপোথাইরয়েডিজম, বাওয়েল সিনড্রোম, প্রসব পরবর্তি বিষণ্ণতার লক্ষণও অনেক সময় পি এম এস এর লক্ষণের সাথে মিলে যায়। তাই ডাক্তার দেখিয়ে মেডিক্যাল চেকাপ করিয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
চিকিৎসা-
আপনি পি এম এস থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু এর লক্ষণগুলোকে শিথিল করতে পারবেন। ছোটখাট কিছু নিয়ম মেনে চললে কিছুটা হলেও সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আসবে।
১। খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন,
২। প্রচুর পানি খান,
৩। ফল, সবজি বেশী পরিমাণে খান,
৪। খাবারে চিনি, লবণ এসবের পরিমাণ খেয়াল রাখুন,
৫। ফলিক এসিড, ভিটামিন বি ৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে,
৬। রাতে ৮ ঘটা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
মারাত্মক অবস্থায়-
পি এম এস এর মারাত্মক অবস্থাকে বলে premenstrual dysphoric disorder (PMDD)। ৩- ৮ ভাগ নারীদের এই সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে একজন নারী আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করতে পারেন। অবশ্যই ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হোন। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।

Comments

comments