‘প্রতি সপ্তাহে একবার হলেও পর্ন দেখেন মহিলারা’
এক-তৃতীয়াংশের বেশি মহিলা সপ্তাহে অন্তত একবার পর্ন দেখেন, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মহিলাবিষয়ক ফরাসী সাময়িকী মেরি ক্লেয়ার-এর জন্য আলোকচিত্রী আমান্ডা ডি ক্যাডেনেট-এর চালানো এক সমীক্ষাতে জানা গিয়েছে, ডিজিটাল যুগ পর্ন-কে আরও সহজলভ্য করেছে। সমীক্ষাতে অংশ নেওয়া তিন হাজার মহিলার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মহিলাই জানিয়েছেন, তারা অনলাইনে পর্ন দেখেছেন। সেই সঙ্গে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মহিলা জানিয়েছেন, তারা পর্ন দেখতে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
ক্যাডেনেট জানিয়েছেন, এই প্রকল্প পর্নের সঙ্গে নারীদের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন তিনি। এই বিষয়টি ‘বিশালভাবে অবমূল্যায়িত’ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “পর্ন থাকবেই, আর আমাদের এর সঙ্গে আলোচনা করা শিখতে হবে, যেহেতু আমাদের মধ্যেই যৌনতা প্রেমী মানুষ রয়েছে, যারা হয়তো দর্শক বা তা নয়, হয়তো সঙ্গী।”
গবেষনাতে অংশগ্রহনকারী মহিলাদের ৩১ শতাংশ মহিলা প্রতি সপ্তাহেই পর্ন দেখেন এবং অন্য ৩০ শতাংশ মাসে কয়েকবার দেখেন বলে জানিয়েছেন। ৬৩ শতাংশ নারী অসমকামী, ৩১ শতাংশ মিশ্র ধরনের, ২৮ শতাংশ ‘হার্ড-কোর’, ২৬ শতাংশ ‘সফট-কোর’, ৪৪ শতাংশ নারী সমকামীদের আর ১৩ শতাংশ সমকামী পুরুষদের পর্ন দেখেন। ১৩ শতাংশ এখানে তালিকাবদ্ধ হয়নি। নারীদের পর্ন দেখার হার এখনও পুরুষদের তুলনায় অনেক কম বলে জানা গেছে গবেষণায়। ২০১৪ সালে করা অন্য আরেক সমীক্ষাতে দেখা যায়, ৩২.৫ শতাংশ পুরুষ দৈনিক পর্ন দেখেন, যেখানে মহিলাদের মধ্যে এই হার মাত্র ৩.৮ শতাংশ।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই সমীক্ষাতে অংশ নেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী একাকী পর্ন দেখতে পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন। যৌন জীবনে পর্নের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে- এই ধারণায় একমত পোষণ করেছেন অংশগ্রহণকারী অর্ধেকেরও বেশি নারী। অংশগ্রহনকারীদের শতকরা ৭০ ভাগ নারীরই বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারীই কারও না কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।