গর্ভনিয়ন্ত্রণ পিলের ক্ষতিকর দিকগুলো জানলে চমকে উঠবেন
নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল গর্ভধারণ৷ এক্ষেত্রে অনেক সময়েই প্রযোজন পরে গর্ভনিয়ন্ত্রণের৷ আর গর্ভনিয়ন্ত্রণের জন্য নারীর একান্ত সঙ্গী কন্ট্রাসেপটিভ পিল৷ এই ধরণের পিল হল অত্যন্ত কার্যকরী গর্ভনিরোধক যাতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামের দুটি হরমোন উপস্থিত থাকে৷
পিল গ্রহণের পদ্ধতি:
মাসিক ঋতুচক্রের পঞ্চম দিন থেকে এই পিল খাওয়া উচিত৷ যদি কোনও কারণে পিল খেতে ভুলে যান তবে পরের দিন একসঙ্গে দুটি পিল খাওয়া উচিত৷ এই ধরণের ওষুধে প্রথম তিন সপ্তাহের ওষুধ হল হরমোন পিল এবং শেষ সপ্তাহের ওষুধে থাকে কেবল মাত্র আয়রন৷ সেকারণে চতুর্থ সপ্তাহে পিরিয়ড হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ নতুন পিলের প্যাকেট শুরু করা উচিত প্রতি চতুর্থ সপ্তাহে৷
সাউড এফেক্ট:
গর্ভনিরোধক পিলগুলি বর্তমানে যেভাবে তৈরি হয় তাতে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তবে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে যদি অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷তবে যদি ব্রণের সমস্যা আগে থেকেই থাকে তবে ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ উপকারি৷ এছাড়াও স্তনের স্ফীতি বা কোমর বেড়ে যেতে পারে৷ সেক্ষেত্রে পিল চলাকালীন সময়ে ব্যায়াম, সুষম আহার ও সমসময় ফিল গুড ইমোশন বজায় রাখা উচিত৷ জরায়ু, হার্ট বা কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই পিল ব্যবহার করুন৷
চিকিৎসকেরা পরামর্শ:
চোখে ঝাপসা দেখা বা দেখার অসুবিধা, মাথাব্যথা, অস্বাভাবিক পায়ে ব্যথা, বুকে ব্যথা, কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, তলপেটে ব্যথা, এই ধরণের উপসর্গগুলি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
পিলের উপকারিতা:
নিয়মিত পিল ব্যবহার করলে নারী দেহে বিভিন্ন ঝুঁকির অবসান ঘটে৷ এই পিল ব্যবহার করলে, ওয়ারিয়ান সিস্ট, অ্যানিমিয়া, আর্থারাইটিস, একটোপিক প্রেগনেন্সি, যৌনাঙ্গে প্রদাহজনিত রোগ ইত্যাদির সম্ভাবনা কমে যায়৷ এচাড়াও পিরিয়ড চলাকালীন অস্বস্তি, খিঁচুনি, যন্ত্রণা লাঘব করে৷ পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই স্বাভাবিক নিয়মে গর্ভধারণ সম্ভব৷