ক্যান্সার সারাতে খেজুরের গুনাগুন
পুষ্টিগুণে সমৃ্দ্ধ খেজুর অসাধারণ ঔষধিগুনে পরিপূর্ণ৷ সারাবছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থের পক্ষে খুবই উপযোগী৷ এছাড়াও এই বিশেষ ফলটিতে রয়েছে মারণরোগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা৷ তাই আপনাদের জন্য রইল খেজুরের কিছু অজানা তথ্য৷
প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ২৭৭ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়৷ এতে শর্করা ৭৪,৯৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮১ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০.০০ গ্রাম ও ৬.৭ গ্রাম ফাইবার রয়েছে৷ এছাড়াও এতে প্রতুর পরিমাণে ভিডামিন এ, সি, কে, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফসফরাস, থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বিটা-ক্যারোটিনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে৷ তবে শুকনো খেজুরের ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়৷
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ফাইবার৷ গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরে ক্যানসার প্রতিরোধ করার উপাদান রয়েছে৷ অন্ত্রের ক্যানসার নিরাময়ে এটি খুবই উপকারি৷ নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসারের সম্ভবনাও অনেকটাই কমে যায়৷
খেজুর প্রসব যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে৷ এটি জরায়ুর মাংসপেশি দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে৷ এছাড়াও এই ফল প্রসব পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়৷
খেজুর হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ও রক্ত পরিশোধন করে৷ এটি হৃদপিন্ডের সংকোচন প্রসারণ সঠিক রাখে৷ তাই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য খেজুর ভীষণ উপকারি৷
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বর্তমান৷ ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে৷ রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর৷
দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে শরীরে প্রচুর গ্লুকোজের প্রযোজন হয়৷ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকায় এই ঘাটতি পূরণ হয়৷ এছাড়াও খেজুর শরীরে রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে৷
ক্যালসিয়াম গাড় গঠনে সাহায্য করে৷ খেজুরে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে৷ এর ফলে এটি হাড় মজবুত করে ও হাড়ক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত রাখে৷
এছাড়াও খেজুর হজমবর্ধক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়, যৌনশক্তি বাড়ায়, মুখে রুচি আনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়৷ খেজুরের বীজ রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷ এছাড়াও খেজুর ফুলের পরাগরেণু পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করে শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে৷