মধু-পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা…
আদিকাল থেকে ওষুধ হিসেবে মধু সুপরিচিত। ঠান্ডা কাশি সারানো থেকে শুরু করে কাঁটাছেড়া সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। অনেকের অভ্যাস সকালে মধু পানি পান করা। এই একগ্লাস মধু পানি আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর ফেলবে চমৎকার প্রভাব। জানতে চান এর স্বাস্থ্য উপকারিতা? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মধু পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।
১. ওজন হ্রাস করতেঃ
ওজন কমাতে মধু পানি জাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি পান করুন। এর সাথে আপনি চাইলে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
প্রতিদিন এক গ্লাস মধু পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সবল রাখে এবং যেকোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
৩. অ্যালার্জি দূর করেঃ
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু পানি পানে দেহের পোলেন অংশগুলো যেখানে অ্যালার্জি রয়েছে সেসকল স্থানে এক ধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা সৃষ্টি করে যা অ্যালার্জির যন্ত্রণা দূর করে দেয়।
৪. হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ
মধুতে এনজাইম আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার হজমে সমস্যা থাকে তবে খাওয়ার পর এক গ্লাস কুসুম গরম মধু পানি পান করুন, দেখবেন হজমের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
৫. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ
দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি রক্তে কোলেস্টে্রলের মাত্রা ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
৬. কোষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধেঃ
শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি সকালে খালি পেটে একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার পান করুন। এটি আপনার কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
৭. এনার্জি বৃদ্ধিতেঃ
দুর্বলতা অনুভব করছেন? তাহলে তাৎক্ষনিক এক গ্লাস মধু পানি পান করুন। শরীরে চিনির মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা অনুভব হয়। মধু পানি শরীরে পানির পরিমাণ বজায় রেখে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে।