আপনার অজানা পাঁচটি চাঞ্চল্যকর তথ্য, ফুলসজ্জা রাতে কি হয়?
বিয়ের মাস চলছে। ইতিমধ্যে বুকে ভয় নিয়েই অনেক পুরুষই বিয়ের দিকে হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু অনেকেরই বউভাতের রাত ফুলসজ্জা নিয়ে একটা চাপ থেকেই থাকে! স্ত্রী কিংবা স্বামীর সঙ্গে কাটানো প্রথম রাত কি হবে! তা নিয়ে মুখে কিছু না ফুটলেও চাপে থাকে সবাই। কিন্তু একসঙ্গে শোয়ার প্রথম রাত নিয়ে সারাদিন চিন্তা করার মতো কিছুই নেই। স্বাভাবিক একটা ব্যপার হিসাবেই মেনে নিন। কিন্তু ফুলসজ্জা রাতে কি করবেন?
১. বিশেষ প্রস্তুতি : ফুলশয্যার রাতের জন্য নিজেকে তৈরি করুন। সবাইকে দেখিয়ে নয়, নিজের মতো করে। পোশাক থেকে শুরু করে নিজের শরীর রাখুন একেবারে ফ্রেস! একবার নজরে যেন একটা প্রেম প্রেম ব্যাপার তৈরি হয়।
২. মিষ্টি ব্যবহার : বিয়ের প্রথম রাতেই ক্ষীর জমিয়ে ফেলতে হবে! অবশ্যই নিজের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকুন। প্রথম রাতে কোনওরকম উগ্রতা প্রকাশ করবেন না। লজ্জা পেলে ঠিক আছে। সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু উগ্রতা নয়। কথাবার্তায় শান্ত ও সৌম্য ব্যবহার একান্ত কাম্য।
৩ হোক আড্ডা : প্রথম রাতেই এমন কিছু করতে চাইবে না, যে সারা জীবন পস্তাতে হয়। এমনকি, নিজের বডি ল্যাঙ্গুজেও এমন কোনও ব্যবহার করবেন না যাতে আপনার সঙ্গে থাকা প্রিয় বা প্রিয়তমা ভয় পেয়ে যায়। তাই নিছক একটু মন খুলে আড্ডা মারলে মন্দা হয় না। তাই কিছু করারত আগে অবশ্যই হোক না একটু আড্ডা।
৪ মন ছুঁয়ে যাওয়া উপহার : আড্ডা মারতে মারতে আবার সব কিছু ভুলে যাবেন না! আড্ডার দেওয়ার মাঝেই স্ত্রীর হাতে তুলে দিন উপহার। দামি হতে হবে তার কোনও মানে নেই! হালকা মানান সই উপহার দিতেই পারেন। স্ত্রী কেমন, তার পছন্দ কেমন, সেটা বাড়ির লোকের সাথে কথায় কথায় জেনে নিন। সেই মতো কিনে নিন সুন্দর কোনও উপহার। ফুলশয্যায় স্ত্রীর মুখে হাসি ফুটবেই।
৫ মিলন কি হবে : ফুলশয্যার রাত মানেই একজন মহিলাকে পুরোপুরি নিজের করে পাওয়ার প্রথম রাত। অনেকটা লাইসেন্স পাওয়ার মতোই। যতই মুখ টিপে হাসুন, এটাই ঘোর বাস্তব। ফলে অনেকে ভেবেই নেন, এই রাতেই বুঝি দাম্পত্য জীবনের প্রথম কদমফুল ফোটে। কিছুটা হলেও বিষয়টা কিন্তু পুরোপুরি সত্যি নয়। অনেকেই আছেন, যাঁরা স্রেফ গল্প করে বা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। অনেকে আবার অনেককিছুই করেন। ফলে স্ত্রীর চাহিদা কী জানা দরকার। হতেই পারে, আপনি রেডি, তিনি নন। সেরকম হলে কিন্তু জোর করা হয়ে যাবে। স্ত্রীর শরীরী ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি দেখেন স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক চাইছেন, এগিয়ে যেতে পারেন। যদি তিনি খানিক ইতস্তত করেন, জোর করবেন না। এতে আপনার ভাবমূর্তি খারাপ হবে।