গর্ভনিরোধক বড়ি, পিল, কনডোম, কপার টি- এগুলো জন্মনিয়ন্ত্রণের নানা পদ্ধতি৷ কিন্তু এগুলো সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে৷ ছবিঘরে থাকছে সে সম্পর্কে আটটি তথ্য৷

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে ওজন বাড়ে
অনেক বছর আগে যখন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বাজারে আসে, তখন তাতে এমন কিছু পদার্থ ছিল, যার কারণে মেয়েরা সহজে মুটিয়ে যেতো৷ কিন্তু আধুনিক গর্ভনিরোধক বড়িতে এ ধরনের কোনো সমস্যার ঝুঁকি নেই৷ তারপরও অবশ্য অনেকেই প্রাচীন ধারণাটিই পোষণ করেন৷

কন্ডোমের ব্যবহার যৌন আনন্দ কমায়
কন্ডোম ভীষণ পাতলা পর্দা দিয়ে তৈরি আর এতে আছে লুব্রিকেন্ট, তাই এর উপস্থিতি অনুভবই করা যায় না৷ কিন্তু অনেকেরই ধারণা, এতে যৌন আনন্দ অনেকটা কমে যায়, যা একেবারেই ভুল৷ বরং লুব্রিকেন্টের উপস্থিতি আনন্দকে আরো বাড়াতে সাহায্য করে৷

পিল সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমায়
অনেকের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরে গর্ভনিরোধক বড়ি বা পিল গ্রহণ করলে সন্তানধারণ ক্ষমতা কমে যায়৷ এটাও ভুল৷ আপনি যখন সন্তান নিতে চাইবেন, তখন বড়ি সেবন বন্ধ করে দিলেই হবে৷ কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷

দু’টি কন্ডোমে অতিরিক্ত সুরক্ষা
জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কন্ডোমই যথেষ্ট৷ দু’টি কন্ডোম ব্যবহারে হিতে বিপরীত হতে পারে৷ অর্থাৎ কন্ডোম দু’টি ফেটে গিয়ে দেখা দিতে পারে বিপত্তি৷

স্তন্যদানের সময় বড়ি খাওয়া উচিত নয়
এটি একেবারেই ভুল ধারণা৷ আপনি যদি গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে চান, তবে নিয়মিত আপনাকে পিল সেবন করতে হবে৷ শিশু বুকের দুধ খেলে তা গর্ভনিরোধের কাজ করবে, এমনটা ভাবা ভুল৷

মাসিকের সমস্যায় গর্ভনিরোধক বড়ি কাজে দেয় না
এমন ধারণা বা বিশ্বাসের পক্ষেও কোনো যুক্তি নেই৷ অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা ‘মাসিক’অনিয়মিত হলে চিকিৎসক প্রায় সময়ই পিল সেবনের পরামর্শ দেন৷ এতে ‘মাসিক’সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়৷

কন্ডোম শুধু পুরুষরাই ব্যবহার করতে পারে
বাজারে কিন্তু নারীদের কন্ডোমও পাওয়া যায়৷ এটাও পুরুষদের কন্ডোমের মতোই৷ তবে তা নারীদের যোনিতে স্থাপন করতে হয়৷

আই পিল এ গর্ভপাতের সম্ভাবনা
আই পিল বা এমারজেন্সি পিল ব্যবহার করলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে অনেকের ধারণা, যা ভুল, কেননা, এমারজেন্সি পিল সহবাস করার ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হয়৷ আর আপনি যদি গর্ভবতী হন, তাহলে নিশ্চয়ই এটা ব্যবহার করবেন না৷ সে অবস্থায় ব্যবহার করলে কোনো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে