গর্ভাবস্থায় বমি, ঘরেই রয়েছে সমাধান !!!
গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে বমি হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই বমির সমস্যা সঠিক উপায়ে মোকাবেলা না করতে পারলে শরীর সঠিক পুষ্টি পায় না।
স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বমি হওয়া গর্ভাবস্থায় খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শতকরা ৫০ ভাগেরও অধিক মহিলা গর্ভাবস্থায় এই বমির সম্মুখীন হন।
কারও কারও প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে বমির প্রকোপ এতই বেশি থাকে যে ওজন হ্রাস পেতে পারে। পাশাপাশি পুষ্টির অভাব হওয়ায় অস্বাভাবিক নয়।
তবে সবচেয়ে যেটা সমস্যার কারণ তা হচ্ছে এই বমি প্রবণতা শরীর দুর্বল করে দেয়। আর সারাক্ষণ ক্লান্ত করে রাখে।
এই বমি সমস্যার রয়েছে ঘরোয়া সমাধান।
* আদা চা: বদহজম এবং চলন্ত বস্তুতে চড়ার কারণে যে বমি হয় সেই চিকিৎসায় আদা চায়ের ব্যবহার সর্বজন স্বীকৃত। গর্ভাবস্থার বমিতেও আদা চা ভালো ভূমিকা রাখে।
এক চামচ তাজা কাঁচাআদা-কুচি এক কাপ পানিতে পাঁচ থেকে দশমিনিট ফুটিয়ে তাতে চায়ের পাতা দিয়ে বানিয়ে খেলে বমি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
* মৌরির বীজ: আমরা মুখ সতেজ রাখার কাজে ব্যবহার করে থাকি। তবে পাকস্থলী আরাম দিতেও এর জুড়ি নেই। যখনই বমির অনুভূতি জেঁকে বসবে তখনই কয়েকটা মৌরির বীজ মুখে দিয়ে চিবালে বমি ভাব কমে আসবে।
* আমসত্ত্ব: আমসত্ত্ব বা অন্য কোনো ফলের মাংসল অংশ শুকিয়ে যদি সত্ত্ব বানানো হয় তবে সেগুলো বমি ঠেকাতে খাওয়া যেতে পারে। এই ফলের সত্ত্বগুলোর মধ্যে প্রচুর পানি থাকে যা পানি স্বল্পতা দূর করে পাশাপাশি ফলের সত্ত্ব তৈরিতে প্রচুর চিনি লাগে যেগুলো খুব দ্রুত শক্তি দেয় আর বমি বমি ভাবের ক্লান্তিও দূর হয়।
* লেবু: বমিভাব কমাতে লেবুর কার্যক্ষমতা প্রায় প্রবাদতূল্য। যখনই বমিভাব আসে একটু লেবুর গন্ধ শুঁকলে বা সামান্য রস খেলে বেশ ভালো বোধ হয়। কখনও যদি লেবু খুঁজে পাওয়া সমস্যা হয় তবে লেবুজাতীয় যে কোনো ফল বা তার খোসা থাকলেই হবে। এ ফলগুলো বমি দূর করার কাজে কেউ কারও চেয়ে কম যায় না।