পুরুষদের তুলনায় নারীরা দীর্ঘায়ু হন কেন?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি সময় কেন বাঁচেন? নতুন এক গবেষণায় জানানো হয়, বিংশ শতাব্দীতে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার একটি বড় কারণ হৃদরোগ।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার তত্ত্বাবধানে করা গবেষণা অনুযায়ী, ১৮০০ সাল এবং ১৯০০ সালের প্রথম দিকে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সংক্রামক রোগের প্রতিরোধ, উন্নত খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলেছেন। ফলে মৃতুর হার কমেছে, তবে নারীদের ক্ষেত্রে তা কমেছে অনেক দ্রুত।
বার্ধক্যবিদ্যার অধ্যাপক আইলিন ক্রিমিনজ বলেন, “সার্বজনীন তথ্য পর্যালোচনা করে দেথা গেছে হৃদরোগই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার প্রধান কারণ।”
তিনি আরও বলেন, “পুরুষ ও নারীর মধ্যকার মৃত্যুর হারের পার্থক্য দেখে আমরা বিস্মিত, যা ১৮৭০ সালের প্রথমদিকে শুরু হয়। ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে এই তারতম্য বেশি দেখা যায়। আর ৮০ বছর বয়সে দ্রুত এই তারতম্য মিলিয়ে যায়।”
গবেষণায় জন্য ১৩টি উন্নত দেশে ১৮০০ সাল থেকে ১৯৩৫ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া মানুষের জীবনকাল পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
গবেষক দলটি চল্লিশোর্ধদের মৃত্যুর হার বিবেচনায় রেখে দেখেন, ১৮৮০ সালের পরে জন্ম নেয়া পুরুষদের তুলনায় নারীদের মৃত্যুর হার কমেছে ৭০ শতাংশ দ্রুত গতিতে।
ধূমপানজনিত অসুস্থতা বিবেচনা না করলেও, চল্লিশোর্ধ পুরুষদের বেশির ভাগেরই মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার প্রধান কারণ হৃদরোগ।
ক্রিমিনজ বলেন, “অবাক করার মতো বিষয় হল, ১৮৯০ সালের পর থেকে নারী-পুরুষের মৃত্যুর হারের পার্থক্যের মধ্যে ধুমপানের সঙ্গে জড়িত মাত্র ৩০ শতাংশ।”
বিস্তারিত গবেষণায় মাধ্যমে জানা যাবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার ধরণ, নারী ও পুরুষভেদে কোষে জিনগত ও জৈবিক সমস্যার গভীর গবেষণা এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সঙ্গে এদের সম্পর্ক।
প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সাইন্স নামক জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।