বারে বারে ক্ষুধা লাগার ৫টি কারণ !!!
আপনি কি প্রায় সবসময়ই ক্ষুধা অনুভব করেন? ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনারের একঘণ্টা বাদেই কি ক্ষুধা অনুভূত হয়? এমনটা অনেকেরই হতে পারে, কিন্তু অনেকেই এর সঠিক কারণ জানেন না।
বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ পুষ্টি পণ্য সরবরাহকারী নিউট্রিসেন্টারের প্রধান পুষ্টিবিদ সোনা উইলকিনসন বার বার ক্ষুধা লাগার পাঁচটি কারণ জানিয়েছেন:
প্রেগন্যান্সি – প্রেগন্যান্সির সময় ক্ষুধা বাড়ে, সঙ্গে বাড়ে ক্যালরির চাহিদাও। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এসময় স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। রিফাইন্ড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার ত্যাগ করুন।
রাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে – রাতে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ভারী খাবার খেলে কিছুক্ষণ পর আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। যখন আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট খাই, তখন চিনির মতোই তা খুব দ্রুত শরীর শুষে নেয়। রিফাইন্ড (পরিশোধিত) কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে পরিমিত আনরিফাইন্ড (অপরিশোধিত) কার্বোহাইড্রেট যেমন – মিষ্টি আলু, বাদামি চাল, মাছ বা মুরগী, ব্রোকোলি বা অন্যান্য সবজি খান।
ঘুম কম হলে – ক্ষুধা ও আমরা কতটা খাই তার ওপর অনেকটা প্রভাব ফেলে আমাদের ঘুম। ঘুম কম হলে লেপটিন নামক হরমোন হ্রাস পায়। এ হরমোন ক্ষুধা দমন করে। অন্যদিকে কম ঘুম গ্রেলিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা ক্ষুধার উদ্দীপক। যার ফলে কম ঘুম ওজন বাড়িয়েও দিতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি পেশি রিল্যাক্স করে।
ক্ষুধা নয় তৃষ্ণা – অনেক সময় তৃষ্ণাকে আমরা ক্ষুধার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে আমরা ক্ষুধার্ত বোধ করি, কিন্তু ওই সময়ে শরীরে হয়তো প্রয়োজন এক থেকে দুই গ্লাস পানি।
মিনস্ট্রুয়াল সাইকেল – মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষুধা ও খাবার গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায় তাদের মাসিক চক্রের দ্বিতীয়ার্ধে। ব্লাড-সুগার লেভেল ঠিক ও ক্ষুধা নিবারণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকার বীজ খান।
Related Posts
Comments
comments