বাস বা ট্রেনে উঠলে নির্ঘাত বমি হবে নয়তবা বমি বমি লাগবেই, পুরো রাস্তাটা অস্বস্তির মধ্য দিয়ে যায়। তাছাড়া অন্যান্য যাত্রীর জন্যও ব্যাপারটা খুব বিরক্তিকর। নিজের ভ্রমণটা অস্বস্তিতে গেলই অন্যে সাধের ভ্রমণটাও মাটি করে দিলেন। এই সমস্যা অনেকেরই। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একে বলে ‘মোশন সিকনেস’ বা গতিজনিত অসুস্থতা। কিন্তু তাই বলে কি ভ্রমণই বন্ধ করে দেবেন? দরকার নেই, এরও সমাধান আছে। কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখলেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন এই সমস্যা।
১. বাস বা ট্রেনে ওঠার আগে ভুল করেও মশলাদার খাবার মুখে নেবেন না। যতোই জিভে জল আসুক একটি ভালো ভ্রমণের জন্য এটুকু স্যাক্রিফাইস আপনাকে করতেই হবে। অনেক দূরের পথ হলে হালকা-শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। ভ্রমণের আগে খান, মাঝে ক্ষুধা পেলে কাজে দিবে।
২. বাস বা ট্রেনটি দিকে যাচ্ছে তার উল্টো দিকে বসবেন না। উল্টো ঝাঁকুনি ও গতির প্রভাবে আরো বেশি করে বমি ভাব লাগবে।
৩. যদি বাসে ওঠেন, তবে সামনের দিকের সিটে বসাই ভালো। পারতপক্ষে পেছনের সিট এড়িয়ে চলুন।
৪. বাস বা ট্রেন যখন চলবে, সামনে বসলে সোজা উইন্ডশিল্ড দিয়ে আর জানালার পাশে বসলে ঘাড় ঘুরিয়ে চোখের সোজাসুজি তাকিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখুন। নিচে বা উপরের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।
৫. বমি সমস্যাটা যদি আগে থেকেই থাকে তাহলে গাড়িতে ওঠে মোবাইল বা ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করবেন না।
৬. চেষ্টা করুন জানলার পাশের সিটগুলোতে বসার।
৭. এমন পরিস্থিতি এড়ানোর সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হচ্ছে ঘুমিয়ে পড়া।
৮. বমি ভাব দূর করার জন্য আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়ে গাড়িতে উঠুন।