৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

করোনায় এন্টিবডি তৈরিতে হোমিও ঔষধ ব্যবহার!

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ছয় হাজার পরিবারের প্রায় ২৪ হাজার সদস্যকে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক Arsenic Album 30 ঔষধ সরবরাহ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। করোনা প্রতিরোধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিক সক্রিয় করতে এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পৌরবাসীকে এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের উদ্যোগ নিয়েছে ভাঙ্গুড়া পৌর কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল শহরের নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মঙ্গলবার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পৌঁছে দেন। ভাঙ্গুড়ায় এ পর্যন্ত ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরে করোনা সংক্রমণ রোধে পৌর কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় করোনা প্রতিরোধে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিক সক্রিয় করতে এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ভারতের হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাখা আয়ুষ এর গাইডলাইন অনুসারে Arsenic Album 30 হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের জন্য ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ছয় হাজার পরিবারের ২৪ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

পাবনা সদর হাসপাতালের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক জাকারিয়া খান মানিক ও স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আবুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে এই ঔষধ সেবনের ব্যবস্থাপত্র পৌরবাসীকে দেয়া হয়। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে এই দুজন চিকিৎসক প্রতিনিয়ত পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পৌরবাসীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ডাক্তার জাকারিয়া খান মানিক বলেন, হোমিওপ্যাথিক Arsenic Album 30 ঔষধ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা তৈরি করে। এটি নিয়ম মতো সেবন করলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও সক্রিয় হয়ে উঠে এবং মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এরই মধ্যে ভাঙ্গুড়ায় করোনা আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তির ওপর এই ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে। যা কার্যকর হয়ে তারা সুস্থ হয়েও উঠেছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা প্রতিরোধে এখন হোমিওপ্যাথিক ওষুধের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ছে। ব্যবহৃত এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই কারোর শরীরে করোনার যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবনের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক ঔষধও সেবন করতে পারেন।

ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌরবাসীকে করোনামুক্ত রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণ করে সকল ব্যবস্থাই নিয়েছি। পৌর শহরের মধ্যে তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠা একজন প্রকৌশলী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়েছিলেন। তাই অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ২৪ হাজার পৌরবাসীকে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে করোনার দুর্যোগ মোকাবেলায় ভাঙ্গুড়া পৌরশহরে সরকারের সকল নির্দেশনা শতভাগ পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সূত্র: কালের কন্ঠ

Comments

comments