বন্ধুহীনতা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর
বন্ধু বা সঙ্গী ছাড়া মানুষ একাকী বাঁচতে পারে না। জীবনের বন্ধুর পথে, বন্ধুহীন হয়ে চলা সত্যিই কঠিন। যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট আর বিপদের দিনে বন্ধুই তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সবার আগে।
বন্ধু বা সঙ্গী ছাড়া মানুষ একাকী বাঁচতে পারে না। জীবনের বন্ধুর পথে, বন্ধুহীন হয়ে চলা সত্যিই কঠিন। যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট আর বিপদের দিনে বন্ধুই তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সবার আগে।
মানুষ একা থাকতে পারে না বলেই একাকিত্ব অনেক সময় অসহনীয় হয়ে ওঠে। সেই একাকিত্ব ঘোচাতেই শুধু নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজন অন্তত একজন ভালো বন্ধু। কারণ বন্ধুহীন ব্যক্তি মানসিক এবং সামাজিকভাবে কতটা খারাপ অবস্থায় থাকে তা বলে শেষ করা যাবে না।
বন্ধুত্ব হচ্ছে নিঃস্বার্থ এক সম্পর্ক, যার সঙ্গে মনের সব আবেগ, অনুভূতি, ভালো লাগা, মন্দ লাগা সব কিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। বন্ধু মানে শতভাগ নির্ভরতার এক বিশ্বস্ত আকাশ। যার প্রভাব একজন মানুষের জীবনে অনেকখানি।
বন্ধুহীন মানুষ শুধু মানসিক সমস্যায় ভোগে না, শারীরিক সমস্যায়ও ভোগে। গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ধুহীন মানুষের ভালো ঘুম হয় না। সামাজিক যোগাযোগে সে অনেক পিছিয়ে থাকে।
সম্প্রতি আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর গবেষণা করে জানিয়েছেন এমন তথ্য।
তাদের গবেষণার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছেন, নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যাদের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই, এমনকি কোনো বন্ধুও নেই। তাদের শরীরের ওপর অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে কিন্তু তারা তা বুঝতে পারেন না।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক পাসালাকুয়া ও ক্রিস সেগরিন এই জরিপ চালান। যদি নিঃসঙ্গতা থেকে বাঁচতে চান সামাজিক যোগাযোগে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন না। তাই আর নয় মন খারাপ করে ঘরের কোণে একা বসে থাকা। আসুন আজ বিশ্বস্ত প্রিয় বন্ধুটির হাত ধরে বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখি। তবে মনে রাখতে হবে, ভালো বন্ধুত্বের সূচনা কিন্তু হয় পরিবার থেকেই।