উল্টাপাল্টা খাবারে এসিডিটি দূরে রাখবেন যেভাবে
উল্টাপাল্টা খাবার গ্রহণের কারণে হঠাৎ করেই কখনো কখনো এসিডিটির মাত্রা বেড়ে যায়। আবার কখনো খাবারের অনিয়মের কারণে এসিডিটি উদ্রেক হতে পারে। তাই এসিডিটি থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :
ছোট ছোট টুকরো খান: খাবারের বড় টুকরো নয় বরং ছোট ছোট টুকরো খান। এছাড়া খাওয়ার সময় তা ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে ভুলবেন না। ছোট টুকরোর খাবার খাওয়া হলে খাবারের পরিমাণও কমানো সম্ভব। এতে এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা সহজ হবে।
ট্রিগার জেনে রাখুন: অনেকেরই কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবারের মাধ্যমে এসিডিটি শুরু হয়। আপনার ঠিক কোন খাবারটিতে এসিডিটি হয় তা জেনে রাখুন। অনেকেরই কোনো মসলাদার খাবার, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন ইত্যাদিতে এসিডিটি শুরু হয়। সে খাবারটি এড়িয়ে চললেই এসিডিটি এড়িয়ে চলা সহজ হবে।
পানীয় থেকে বিরত থাকুন: অনেকেরই সোডা, ফিজি ড্রিংক্স ও অ্যালকোহলে এসিডিটি হতে পারে। তাই প্রয়োজনে এসব পানীয় বাদ দিন। প্রয়োজনে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এছাড়া কমলা বা লেবুজাতীয় নয় এমন জুস পান করতে পারেন।
খাবার শেষে ক্যাফেইন পান থেকে বিরত: খাবারের শেষে চা-কফি কিংবা অনুরূপ ক্যাফেইন পান করবেন না। ক্যাফেইন পেটে অ্যাসিডিটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ তালিকায় রয়েছে কোমল পানীয় ও চকলেটও।
অ্যান্টাসিড সঙ্গে রাখুন: বাড়তি অ্যাসিডিটি সমস্যায় অসুস্থ হয়ে যাওয়া রোধ করতে অ্যান্টাসিড সঙ্গে রাখুন। এটি বিপদের সময় কাজে লাগতে পারে।
খাওয়ার পরই ঘুম নয়: খাওয়ার পর যদি আপনি শুয়ে ঘুমান তাহলে তা পেটে এসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে। মূলত শুয়ে থাকলেই এসিডের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই খাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর ঘুমাতে যান।
খাওয়ার আগে-পরে হাঁটুন: খাওয়ার আগে ও পরে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এছাড়া পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসে হাঁটলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমন পেটের খাবারও হজমে সহায়ক। আর এতে এসিডিটি সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।