২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

যে লক্ষণগুলো প্রকাশ করবে আপনি ভুগছেন ভিটামিন ডি এর অভাবে

স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে, প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে এবং শক্তিশালী করে। এছাড়া এটি পেশী, দাঁত ও হাড়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভিটামিন ডি মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, হার্টের রোগ সহ নানা রকম রোগ এবং সেই সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল ইনফেকশনসহ অনেক রোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।

ভিটামিন ডি এর অভাব অনেকের মাঝেই দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষই এর সম্পর্কে সচেতন নয় বা বুঝতেও পারেন না যে তাদের মাঝে এর অভাব রয়েছে কিনা। তাই আশা করছি এই লেখাটি পড়ার পর অনেকেই হয়তো বুঝতে পারবেন। যদি উল্লেখিত লক্ষণগুলোর কোনোটি কারো মাঝে প্রকাশ পায় তবে অবিলম্বে ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কয়েকটি লক্ষণ-

হাড় ও পেশীর দুর্বলতা:
ভিটামিন ডি দাঁত, হাড় ও পেশীর জন্য খুবিই প্রয়োজনীয় তাই এর অভাবের ফলে হাড়, পেশী বা দাঁত দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

বিষন্নতায় ভোগা:
গবেষণায় দেখা যায় মনমরা থাকা ও বিষন্নতায় ভোগা নারীদের মাঝে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম থাকে।

প্রচণ্ড ব্যাথা থাকা:
দেহে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা থাকে শরীরে।

দীর্ঘস্থায়ী মাড়ির রোগ:
ভিটামিন ডি এর অভাবগ্রস্থ মানুষের মাঝে মাড়ি ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে থাকা এবং রক্তপাত হওয়া বেশি দেখা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ থাকা:
হাড়, পেশী ও দাঁত ছাড়াও হার্ট ও ভিটামিন ডি এর উপর নির্ভরশীল। তাই যদি রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে তা ভিটামিন ডি অভাবে হতে পারে।

ক্লান্তবোধ ও বেশি ঘুম পাওয়া:
দিনের বেলা কাজের শক্তি না পাওয়া বা ঘন ঘন একটানা ক্লান্তিবোধ কারো মাঝে দেখা গেলে বুঝতে হবে তার দেহে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম।

আচমকা মেজাজের পরিবর্তন:
সেরোটোনিন বা সুখবোধের হরমোন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আর এই হরমোনের উৎপাদন ভিটামিন ডি এর দ্বারা প্রভাবিত।

সহ্যশক্তি কমে যাওয়া:
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর অভাব থাকা ক্রীড়াবিদরা সন্তোষজনক ফলাফল করতে পারেন না এবং অন্যান্য ক্রীড়াবিদের তুলনায় তাদের শক্তির মাত্রাও কম থাকে।

ওজনাধিক্য:
মানুষের দেহের চর্বি কোষে সঞ্চিত ভিটামিন ডি হচ্ছে চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন। তাই বেশি ওজনের বা স্থূল মানুষের বেশি ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন হয়।

আন্ত্রিক জটিলতা:
ভিটামিন ডি মাত্রা যাদের মাঝে কম রয়েছে তাদের অন্ত্রে চর্বির শোষণ, সেলিয়াক ও নন সেলিয়াক গ্লুটেনের সংবেদনশীলতা এবং প্রদাহ জনক পেটের রোগ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে হয় বেশি।

মাথা ঘামা:
ভিটামিন ডি এর একটি প্রাথমিক ও সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত মাথা ঘামা।

অ্যালার্জি:
দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে উল্লেখযোগ্য হারে অ্যালার্জির মাত্রা কমে যায়। প্রায় ৬০০০ মানুষের উপর পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় ভিটামিন ডি এর মাত্রা যাদের কম থাকে তারা বেশি অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হোন। ভিটামিন ডি এর উৎস।

সূর্য রস্মির ভিটামিন:
ভিটামিন ডি হচ্ছে সূর্য রস্মির ভিটামিন। সূর্যের আলোতে থেকে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব। বয়স, ত্বকের রঙ, ঋতু, দিনের সময় সহ বেশ কিছু কারণ এবং সেই সঙ্গে সানস্ক্রিনের ব্যবহারই নির্ধারণ করে যে সূর্যের আলো আমাদের কতটুকু দরকার। তবে দেহে ভিটামিন ডি তখনই তৈরি হয় যখন দেহ অরক্ষিত থাকে অর্থাৎ সানস্ক্রিন দেয়া না থাকে বা অন্য কোনো ভাবে রক্ষিত না থাকে। তাই যদি প্রতিদিনের ডোজ সূর্য রস্মির ভিটামিন থেকে নিতে হয় তাহলে কমপক্ষে ১০-১৫মিনিট রোদে থাকতে হবে। চাইলে এর চেয়ে বেশিও থাকা যায় (দিনে ২০-৩০ মিনিট) যদি ত্বকের সমস্যা না হয় তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ত্বক যেন রোদে পুড়ে না যায়।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার:
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খুব কম। যদি দেখা যায় ভিটামিন এর অপর্যাপ্ততা বেশি বেড়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে তবে কয়েকটি খাবার মিলিয়ে ভিটামিন ডি কে শক্তিশালী করে খেতে হবে।

প্রাকৃতিক উৎস:
ডিমের কুসুম-চিংড়ী মাছ-স্যামন মাছ-সারডিন মাছ-কড লিভার অয়েল

সম্পুরক উৎস:
দই-দুধ-পনির-কমলার জুস-মাশরুম-সিরিয়াল ইত্যাদি। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে দেহের ভিটামিন ডি এর পরিমান বাড়াতে হলে খাবারের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন কে গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই উপরোক্ত লক্ষণ গুলোর মাঝে কোন একটি যদি দেখা যায় তবে অবশ্যই ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আর যখন দেহে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বজায় রাখার প্রয়োজন হয় তখন রোদের মাধ্যমে,খাবারের মাধ্যমে বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে হলেও ভিটামিন ডি এর পরিমান বাড়াতে হবে। তবে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার যদি প্রয়োজন হয়ই সেক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভালো মানের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার। বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায় সবগুলো ভালোমান সম্পন্ন নয় তাই সতর্ক ভাবে দেখে কিনতে হবে।

Comments

comments