৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

মন ভালো রাখার উপায়

নানা কারণে মানুষের মন খারাপ থাকে। সর্দি, কাশি, জ্বরে কয়েকদিন ভুগলেও বিরক্ত লাগে। বিভিন্ন কারণে সার্জারির মধ্য দিয়ে গেলেও চিকিৎসক কিছু দিনের বিশ্রাম লিখে দেন। সেই সময় পার করতেও অস্বস্তি লাগে।

আর হাত-পা ভেঙে গেলে বাড়িতে বন্দি হয়ে থাকতে হয় দিনের পর দিন। এভাবে বাড়িতে বসে বসে মেজাজের বারোটা বেজে যায়। যে কোনো অসুখের এই সময়টা পার করা কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ। তবে কিছু উপায়ে এই দুঃসময়গুলোও ভালোভাবে পার করা যায়।

গান থেরাপি

গান হোক বা কোনো ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক … সুরের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী। আর সুফলও অনেক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালো গান শুনলে হার্ট রেট স্বাভাবিক থাকে, মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে, টেনশন কমে।

ক্লান্তি যেমন কেটে যায়। মানসিকভাবে একজন রোগী অনেকটাই সজীব হয়ে ওঠেন। চিকিৎসা চলাকালীন সে কারণে গান শুনতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে আবার রোগীকে লাইভ মিউজিক শোনানো হয়। এ ধরনের থেরাপি নাকি অনেক বেশি সহায়ক।

বন্দি নয়

অসুস্থ হলে বাড়িতে বন্দি না থেকে দিনে অন্তত এক বার কারো সঙ্গে বাইরে থেকে কিছুক্ষণের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। রাস্তায় বের হওয়ার উপায় না থাকলে অন্তত বাড়ির বারান্দায় গিয়ে বসতে পারেন। সামনের সবুজ গাছ বা রাস্তায় মানুষজনকে দেখলেও মন ভালো হয়ে যায়।

যে ঘরে থাকবেন, সকালে সেই ঘরের জানালা খুলে রাখতে পারেন। বাইরের রোদ-হাওয়া আসতে দিন। রোগীর ঘরের গুমোট ভাব কেটে যাবে।

খুশি থাকুন অন্যদের সঙ্গে

বিমর্ষ হয়ে বাড়িতে না থেকে বই পড়া, সিনেমা দেখার মধ্য দিয়ে সময় কাটাতে পারেন। চেষ্টা করুন, ছুটির মেজাজে দিন কাটাতে। এতে সময় কাটবে তাড়াতাড়ি। চাইলে ছোটদের সঙ্গে সেলফিও তুলতে পারেন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিলে নিজের যেমন ভালো লাগবে, তাদেরও মন ভালো থাকবে।

ছবি আঁকা

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার ফলে অনেক সময় অফিস-কলেজে যাওয়া হয় না। আবার সারা দিন বাড়িতে বসেও সময় কাটতে চায় না। তখন রং-তুলি, কাগজ, কলম টেনে নিয়ে আঁকতে বসে যেতে পারেন। ভালো বইও পড়তে পারেন।

গল্প-আড্ডা

মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ভাবের আদানপ্রদান। ফলে কথা না বলে বা না শুনে মানুষ থাকতে পারে না। তাই ফোনে হোক বা সামনাসামনি গল্প করুন। তবে তা যেন নিখাদ গল্পই হয়। রোগবালাই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। বরং আপনাদের পছন্দের কোনো কমন বিষয়ে আড্ডা চালিয়ে যেতে পারেন।

বিশ্রাম

অনেক সময়েই বই পড়া বা টিভি দেখার মতোও শারীরিক অবস্থা থাকে না। সে সময়ে বিশ্রাম নেওয়াই ভাল। ঘুমিয়ে নিলে শরীর বিশ্রামও পাবে, সুস্থও হবেন তাড়াতাড়ি। মানসিক ভাবেও বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই জেগে থাকলেও নিজের অসুখ নিয়ে চিন্তা করবেন না। কবে সারবে? কবে বের হবেন? এ সব যত ভাববেন, ততই মানসিকভাবে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন। ফলে বিরক্তি বাড়বে। তাই যথাসম্ভব অসুখের বাইরে অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দিন।

সঙ্গসুধা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঙ্গ। যে কোনো অসুখে কেউ সঙ্গে থাকলে শক্তি পাওয়া যায়। তাই বন্ধুর মতো সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করুন তাকে।

অসুখ যা-ই হোক না কেন, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেমন ওষুধ প্রয়োজন, তেমনই দরকার প্রিয়জনের সাহচর্য। তা হলেই কেটে যায় অসুখের সময়, আসে সুদিন।

সূত্র: কালের কন্ঠ

Comments

comments