মনের অস্থিরতা কমাতে…
যে কোনো কাজের গতি কমিয়ে দেয় মনের অস্থিরতা। অস্থিরতার সময় ব্যক্তির মধ্যে কিছু শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- প্রচন্ড অস্বস্তিতে ভোগা, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি। তাই অস্থিরতা দূর করে কাজে মন বসানোটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। কি করলে মনের অস্থিরতা কমবে? তা জেনে নিন-
১. যদি কোনো কারণে খুব বেশি চিন্তিত থাকেন তাহলে কিছু সময় হাটাহাটি করুন। মিনিট দশেক হাঁটলেই মন শান্ত হবে। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন। সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। সকল প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে দূর থাকতে হবে।
২. বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নিউজ পোস্টের কারণেও মন অশান্ত হয়। তাই মাঝে মধ্যে ডিজিটাল পৃথিবী থেকে বেরিয়ে নিজের বন্ধু বান্ধব, আত্মী-স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন। এটা মনের অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও যেসব কারণে মন অস্থির তা অন্যদের সঙ্গেও বলতে পারেন।
৩. যে বিষয়টি নিয়ে অস্থিরতা বাড়ছে তা দূরে সরানোর চেষ্টা করতে হবে। এজন্য পছন্দের খেলা খেলতে পারেন, শপিং এ যেতে পারেন বা নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে পারেন। প্রতিদিনের রুটিনে নিজের জন্য কিছু আলাদা সময় রেখে চোখ বন্ধ করে গান শোনা, কবিতা পড়া বা অন্য যেকোনো কিছু করলে মন ভালো থাকবে।
৪. নিজের যা কিছু আছে বা আপনি যেমন আছেন তাই নিয়ে স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এতে মন অনেক শান্ত হয়ে যাবে। বেশি অস্থিরতা দেখা দিলে রিলাক্সেশন করতে পারেন। ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিতে হবে। দম কিছু সময় আটকে রেখে আবার আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে পর পর তিনবার করতে হবে।
৫. অস্থিরতা বা উৎকন্ঠা যাই বলেন না কেনো তা হতাশাগ্রস্থ করে তোলে, কখনো বা রাগিয়ে দেয়। তাই এটা দূর করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। একটা কৌশল কাজে না লাগলে আরেকটা চেষ্টা করতে পারেন। আর সেই পরিকল্পনা অনুসরণ করে নিজের জীবনকে সফল করে তুলতে পারেন।
৬. মন অস্থির হলে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও গান শুনতে পারেন, গল্প বা কবিতার বই পড়তে পারেন আবার বাগানে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। এছাড়াও নিজের কোনো পছন্দের কাজ থাকলে তা করতে পারেন। এগুলো মনকে অন্যদিকে সরিয়ে অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করবে। অস্থিরতার কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আর যদি সমাধান করা না যায় তবে কারণগুলোর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৭. পুরনো দিনের কিছু স্মৃতি মনে করতে পারেন বা অস্থিরতা বিষয়টি পাত্তা না দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। আবার উল্টো দিক থেকে সংখ্যা গুনতে পারেন। যেমন: ১০০, ৯৯, ৯৮ ইত্যাদি। এতে কিছুটা হলেও শান্তি অনুভব করবেন।
প্রয়োজনে কান্না করতে পারেন, নিজের কাছে নিজে চিঠি লিখতে পারেন। মোট কথা, যেকোনো ভাবেই অস্থিরতা কমানোর চেষ্টা করতে হবে।