কাজুবাদাম খান, দেখুন কী ঘটে!
কোনো খাবার স্বাস্থ্যকর হলে তার স্বাদ কম হবে। এটাই আমাদের একটি সাধারণ বিশ্বাস। কিন্তু কাজুবাদাম আমাদের এই বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণিত করবে। কাজুবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। প্রাকৃতিক, লবণহীন কাজুবাদাম হলো এমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর জলখাবার যার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রচুর।
প্রতিদিন অল্প কয়েকটি কাজুবাদাম খেলেই আপনি আপনার হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং হার্টের রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন। এটি ডায়াবেটিস এবং আলঝেইমারের মতো রোগও প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিন কাজুবাদাম খেলে আপনি পাবেন গুরুত্বপূর্ণ সস পুষ্টির যোগান। এতে রয়েছে, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। এছাড়া প্রোটিন এবং ফাইবারেরও ভালো উৎস কাজুবাদাম। যাতে প্রাকৃতিকভাবেই সুগারও কম থাকে।
কাজুবাদাম অপাস্তুরিত চর্বি সমৃদ্ধ এবং এতে কোলোস্টেরল বা লবণও নেই। আর সকল বাদামের চেয়ে এতে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, রিবোফ্লাবিন এবং নায়াসিন আছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন তিন-চারটে কাজুবাদাম খেলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে…
১. কোলোস্টেরলের মাত্রা কমে
ক্ষতিকর কোলোস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে কাজুবাদাম সবচেয়ে কার্যকর একটি খাবার। আপনার রক্তে ক্ষতিকর কোলোস্টেরলের মাত্রা যদি ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গিয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন ২০-৩০টি কাজুবাদাম খেলে দারুণ উপকারিতা পাবেন।
২. স্বাস্থ্যকর চুল
কাজুবাদামে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভিটামিন ও খনিজ পুষ্টি উপাদান যেগুলো চুলের বৃদ্ধি এবং চুলকে শক্ত করার কাজে লাগে। ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্ক চুল গজানোর হার বাড়ায়। ভিটামিন বি চুলের উজ্বলতা এবং আয়ু বাড়ায়।
৩. হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে
কাজুবাদামে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার। এসব উপাদান হার্ট এবং রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোর জন্য উপকারি।
৪. ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ যা কোলোজেন নামের একটি প্রোটিন উৎপাদনে সহায়ক। এই প্রোটিনটি ত্বকের সজীবতা ধরে রাখে। এতে আরো আছে ভিটামিন ই যা বুড়িয়ে যাওয়ার গতি কমায়।
৫. স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরা
কাজুবদামের খোসায় আছে প্রোবায়োটিকস যা অন্ত্রের জন্য উপকারি ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন বাড়ায়। এসব ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি দেখা দিলে পেটে ব্যাথা, দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস এবং হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম খেলে কার্বোহাইড্রেটস খাওয়ার প্রবণতা কমে। এতে বিপাকের সুবিধা হয় এবং ওজন কমে। এতে আছে প্রচুর আঁশ যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়।
৭. মস্তিষ্কের তৎপরতায় উন্নতি
এতে আরো আছে ভিটামিন ই যা নিয়মিত খেলে মস্তিস্কের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া মস্তিষ্কের বুড়িয়েও যাওয়ার গতিও কমায়।
৮. কোলোন বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
৯. পাথুরি রোগ প্রতিরোধ করে
ক্ষতিকর কোলোস্টেরল প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কাজুবাদাম পিত্ত বা পাকস্থলীর কোথাও পাথর সৃষ্টি হতে দেয় না।
সূত্র: বোল্ডস্কাই