হৃদরোগ রুখতে কলা
নানান পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল কলা। ফাইবার, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর মুখরোচক এই ফলটি শরীরের জন্য ভিটামিন বা খনিজ উপাদান যোগান দেওয়ার পাশাপাশি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যারা নিয়মিত কলা খান তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
সম্প্রতি ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। এছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও অনন্য ভূমিকা রয়েছে এই পটাশিয়ামের।
তাদের মতে, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে। এছাড়া যারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ২৭ শতাংশ কমে যায়। আর কলার মধ্যে এই খনিজ উপাদান রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪ হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন। আর মাঝারি আকৃতির একটি কলায় প্রায় ৪৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে। অর্থাৎ দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণের একটি ভালো উৎস হতে পারে এই কলা।
কলা ছাড়াও আলু, ব্রকলি, অঙ্কুরিত ছোলা, মাছ, পোল্ট্রিজাত দ্রব্যে পটাশিয়াম থাকে। কলার পাশাপাশি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পটাশিয়ামের যোগান দেওয়ার পাশাপাশি কলা হজমেও সাহায্য করে। আবার ফাইবার সম্বৃদ্ধ কলা ওজন কমাতেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। তবে খুব বেশি কলা খেলে আবার পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়াজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অন্যান্য সব খাবারের মতোই কলাও খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।