দীর্ঘায়ু পেতে বেশি করে সামুদ্রিক মাছ খান
বহুদিন বাঁচতে চান? একশো বছরেওে আপনার হার্ট রাখতে চান এক্কেবারে ফিট? তাহলে বেশি করে খান সামুদ্রিক মাছ। আমাদের চারপাশেই রয়েছে সেই সব মাছ। ইলিশ হোক বা পমফ্রেট, সার্ডিন হোক বা সলোমন, সামুদ্রিক মাছেই লুকিয়ে রয়েছে ম্যাজিক।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন ইন টোকিও একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জাপান, সুইত্জারল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের মানুষ বেশিদিন সুস্থ থাকেন। জাপানের গড় আয়ু বিশ্বে প্রথম। এঁদের সবারই খাদ্য তালিকায় রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তেলযুক্ত মাছ ওমেগা থ্রির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস। সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারে সবচেয়ে বেশি ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়।
হার্টকে দীর্ঘদিন তরতাজা রাখে এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। বিজ্ঞানীদের দাবি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কমায়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি কমে যায়। অস্বাভাবিক হৃত্স্পন্দন কমাতে সাহায্য করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। শিশুর মস্তিষ্ক গঠনেও সাহায্য করে ওমেগা থ্রি। অবসাদ ও মনঃসংযোগে ব্যাঘাতজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ভাল ফল দেয়। ওমেগা থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও প্রস্টেট ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিক রোগীদের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে ওমেগা থ্রি অত্যন্ত উপকারী।
যেসব গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ বেশি খেয়েছেন, তাঁদের সন্তানের বুদ্ধি অন্য বাচ্চাদের তুলনায় ছগুণ বেশি। এ ছাড়া শেষ বয়সে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়। সুতরাং, ভেড়ির মাছ নয়, বেশি করে খান পমফ্রেট, সার্ডিন, টুনা, ট্রাউটের মতো সামুদ্রিক মাছ।