তেঁতুলের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
তেঁতুল ভিটামিনে সমৃদ্ধ। ফল হিসেবে তেঁতুল আমাদের জন্যে অনেক উপকারি। তেঁতুলের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে জেনে নিই চলুন।
১. তেঁতুলে আছে বেশ কিছু উপকারী খনিজ উপাদান এবং আঁশ, যা হজমে সহায়ক।
২. এর আঠালো শাঁসে রয়েছে non-starch polysaccharides (NSP) যার উপাদান সেমিসেলুলোজ, মিউসিলেজ, পেকটিন ও ট্যানিস। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলের শাঁসে ৫.১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ কার্যকরী। এই ফাইবার আমাদের কোলনকে ক্যান্সার উদ্রেককারী রাসায়নিক দ্রব্য (যা খাদ্যের সাথে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে) থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। তাছাড়া ডায়েটারি ফাইবার কোলস্টেরল থেকে এক ধরণের লবণ গঠন করে যা কোলনে ক্ষতিকর পদার্থের শোষণ রোধ করে। সেই সাথে শরীরের LDL cholesterol এর মাত্রা হ্রাস করতে তেঁতুলের শাঁস সহায়তা করে।
৩. লেবুতে যেমন থাকে সাইট্রিক এসিড, তেঁতুল (Tamarind) – এ রয়েছে টারটারিক এসিড। টারটারিক এসিড অধিক টক স্বাদযুক্ত, তবে শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট (Anti-oxidant E-number is E334) যা শরীরকে ক্ষতিকর মৌলিক পদার্থ থেকে রক্ষা করে।
৪. তেঁতুলে রয়েছে উদ্বায়ী ফাইটোকেমিক্যালস (limonene, geraniol, safrole, cinnamic acid, methyl salicylate, pyrazineও alkyl¬thiazoles)। এসবেরই আছে ওষধি গুণ।
৫. যে খনিজ উপাদানগুলো তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান তার মধ্যে পটাশিয়াম, কপার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেশিয়াম উল্লেখযোগ্য। পটাসিয়াম আমাদের জীবকোষের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং হার্টের জন্য এর উপকারী ভূমিকা রয়েছে। আমাদের লাল রক্তকণিকার মূল উপাদান আয়রন। কাজেই তেঁতুল রক্তের জন্যে ভালো। এছাড়া আয়রন আমাদের খাদ্য হজমের এনজাইম গঠনে কাজ করে।
৬. তেঁতুল ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন বি (থায়ামিন), ভিটামিন এ, ফোলিক এসিড, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং ভিটামিন সি। খাদ্য হজম ও রোগ প্রতিরোধে এসব ভিটামিনের ভূমিকা প্রায় সবারই জানা।
৭. তেঁতুল চিকিৎসাশাস্ত্রে বহুল ব্যবহৃত। বদহজম, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার বহু কাল ধরে। ওষুধ শিল্পে কোনও কোনও সিরাপে এর প্রয়োগ দেখা যায়।