নারীদের স্তনের আকৃতি নষ্ট হওয়ার ৬টি কারণে সম্পরকে জেনে নিন
স্তনের আকৃতি নিয়ে অনেক নারীই চিন্তিত থাকেন। স্তনের সুন্দর্য ধরে রাখতে কিছু নিয়ম অবশ্যই পালান করা উচিত প্রত্যেক নারীকেই। বিশেষ করে মাঝ বয়সী নারীরা এ নিয়ে বিশ চিন্তত থাকেন।বক্ষযুগলকে সুন্দর রাখতে নারীদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে শরীরের এই অঙ্গটি।
জেনে নিন ৬টি এমন ভুলের কথা, যেগুলোর কারনে আপনার স্তনে পড়ছে বয়সের ছাপ ও নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক আকৃতি ও সৌন্দর্য।
ব্রা
২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, যারা প্রতিনিয়ত ব্রা পড়ে থাকেন তাঁদের তুলনায় যেসব নারীরা কখনোই ব্রা পরিধান করেন নি, তাঁদের স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্তও সুন্দর থাকে। অপর আরেকটি রিসার্চে দেখা যায় যে ভুল মাপের ব্রা পরিধান দ্রুত নষ্ট করে ফেলে আপনার স্তনের আকৃতি। ব্রা যদি পরিধান করতেই হয়, তবে সেটি হতে হবে সঠিক মাপের। খুব বেশী টাইট বা খুব ঢিলেঢালা ব্রা, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
পানি
পানি হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে জাদুকরী পানীয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে ক্রমশ বয়সের ছাপ পড়ে আপনার ত্বকে এবং ঝুলে যেতে থাকে ত্বক সময়ের অনেক আগেই। এবং হ্যাঁ, শুধু মুখের নয়, সম্পূর্ণ শরীর তথা স্তনের ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায় অত্যন্ত বেশী।
সূর্যরশ্মি
সংক্ষিপ্ত পোশাক কিংবা পাতলা ফেব্রিক পরতে ভালোবাসেন? জেনে রাখুন, প্রখর সূর্যরশ্মি আপনার মুখের ত্বকের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ত্বকেরই ক্ষতি করে। পোশাকে ঢাকা থাকলেও সূর্যের রশ্মি আপনার দেখা পছায় ঠিকই, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে স্তনের নরম ত্বকে। সূর্যের প্রখর উত্তাপ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেক ত্বরান্বিত করে দেয়।
ধূমপান
ধূমপান মানবদেহের জন্য একটি অভিশাপের নাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরুষের চাইতে অনেকটাই বেশী। ধূমপান আপনার ত্বকের ইলাসটিনকে নষ্ট করে ফেলে, যা ত্বকে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে আপনাকে দেখায় অনেক বেশী বয়স্ক। ধূমপায়ী নারীদের স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
ওজন খুব দ্রুত বাড়ে-কমে
ওজন কমানো ভালো, তবে ওজন কম্লে সবার আগে প্রভাব আপনার স্তনে পড়ে। কেননা স্তন তৈরি মূলত ফ্যাট সেল দিয়ে, তাই ওজন কমলে প্রথমেই স্তনে এর প্রভাব দেখা যায়। আপনি যখন বেশী মোটা থাকেন, ত্বকে স্ট্রেচ হতে হতে ইলাসটিসিটি হারিয়ে ফেলে। পরে পরবর্তীতে আপনি যখন স্লিম হয়ে যায়, তখন স্তন ঝুলে যায়। দ্রুত ওজন না কমিয়ে ধীরে সুস্থে কমাতে হবে এবং ওজন খুব দ্রুত ওঠানামা করতে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ওজন কমালে স্তনের আকৃতি অনেকটাই কম নষ্ট হবে।