দাম্পত্য জীবনে প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে…
অধিকাংশ বিবাহিত সম্পর্কেই দেখা যাচ্ছে দম্পতিদের মধ্যে নিয়ত অবিশ্বাস করার প্রবণতা বাড়ছে। যার জেরে একটা সময় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের থেকে শুধু দূরে সরে যাচ্ছেই না, নানা ক্ষেত্রে একে অপরকে প্রতাড়িত করছে। কিন্তু, বিবাহিত জীবনে কিছু জিনিস অনুসরণ করলে দাম্পত্য জীবনে এই প্রতারণার থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
* বিয়ের আগে ঠিক করে ‘পার্টনার’ নির্বাচন করুন- এর জন্য কতগুলি বিষয়ে নজরে রাখতে হবে। যেমন, আপনার ‘পার্টনার’ আগের সম্পর্ক থেকে কেন বেরিয়ে এল? এমনকী, পার্টনার বিয়ের আগে কারোর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল কি না সেটা জানার চেষ্টা করুন। সম্পর্কের এত গভীরতার সত্ত্বেও সে সেই সম্পর্ক কেন ছাড়তে চাইছে? এইভাবে সম্পর্ক তৈরি করা এবং ভেঙে ফেলা যদি পার্টনারের অভ্যাস হয় তাহলে সাবধান হন।
* বিবাহিত সম্পর্কে জড়ানোর আগে দু’জনে যতটা সময় পারুন একান্তে কথা বলুন, আড্ডা দিন। তাহলেই বুঝতে পারবেন একে অপরের পছন্দ-অপছন্দটা।
* কোনও বিষয়ে মনোমালিন্য পুষে না রেখে ঘরের মধ্যেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। পারলে ঝগড়া করুন। তবে খেয়াল রাখবেন এতে যেন বাইরের কেউ জড়িয়ে না পড়ে। যদি আপনারা দ্রুত এই মনোমালিন্য দূর করে ফেলতে সমর্থ হন, তাহলে বুঝতে হবে ভয়ের কিছু নেই।
* একে অপরকে ছাড়া কাজ করতে শিখুন। বউ ছাড়া বাজারে যাব না, বা স্ত্রী ভাবছে স্বামী বাড়ি না ফিরলে খাবো না। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজের বোঝা কমান। স্বামী শপিংমলে টাইমে পৌঁছাতে পারছে না, এতে রেগে না গিয়ে তাকে বলুন কাজ শেষ করে আসতে। আবার স্বামী বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন, স্ত্রীর আসতে দেরি হচ্ছে, রাগ না করে সময় হয়ে গেলে রাতের খাবার খেয়ে নিন। বরং ফোনে স্ত্রীর খবর নিন।
* একে অপরের কাছে অপরিহার্য। বিছানায় শেয়ার করা থেকে বাথরুম শেয়ারিং, কোথাও যাওয়া-কেউ কাউকে ছাড়া এক পাও এগোন না। এই ধরনের অভ্যাস বেশিদিন বজায় রাখলে ক্ষতি আছে। তাই সবসময় এই ধরনের অভ্যাসকে দায়বদ্ধতা না বানিয়ে ‘ট্যাক্টফুলি’ নিয়ন্ত্রণ করুন।
* যখন কাছাকাছি থাকছেন না, তখনও একে অপরের টেক্সট, ফোন চেক করুন। পারলে একটা দু’টো মেসেজ করুন। ফোনও করে একে অপরের খোঁজ নিতে পারেন।
* একে অপরের বন্ধুদের নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। পরে পার্টনারের সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞেস করুন বন্ধুরা ভালমতো বাড়ি রওনা হয়েছে কি না?
* পারলে হাসি-খুশি দম্পতিদের সঙ্গে সময় কাটান।
* পার্টনারের সঙ্গে যৌনমিলন নিয়েও প্রচুর ভুল ধারণার প্রচলন আছে। তাই পার্টনার-এর সঙ্গে কতবার যৌন সম্পর্ক করলেন সেটা বড় নয়, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক কতটা সুখদায়ক হল। এতেই সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের হয়।
* জীবনে কোনও নাটকীয় পরিবর্তন এলে একে অপরের কাছাকাছি থাকুন। যেমন, বাড়িতে নতুন কোনও অতিথির আগমন থেকে পরিবারে কোনও মৃত্যুর ঘটনা।