আপনি যদি কোনো পুরুষকে তার বয়স প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন তবে সে দ্রুতই বলে দেবে সঠিক উত্তরটি। কিন্তু এই একই প্রশ্ন যদি কোন নারীকে করেন, তাহলে হয়তো আপনি এর কোনও উত্তরই পাবেন না। কিংবা ভুল উত্তর পাবেন।

কারণ, অধিকাংশ নারী নিজের প্রকৃত বয়স না বলে লুকাতে চান। কিন্তু কেন? অধিকাংশ মেয়েই মূলত ৭টি কারণে তাদের বয়সের কথা কাউকে বলতে চান না। জেনে নেওয়া যাক সেই গোপন কারগুলি-

বিয়ে সমস্যা : পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিয়ে করার ক্ষেত্রে কম বয়সী নারীদেরই জয়-জয়কার। আর তাই বিয়ের উপযুক্ত পাত্রী হয়ে ওঠার জন্য অনেক নারীই নিজের বয়স লুকিয়ে রাখেন। এমনকি খুব কাছের বন্ধুবান্ধবের কাছেও নিজের সঠিক বয়সটা বলেন না অনেকেই।

কম বয়সী দেখানো : অনেক নারীই মনে করেন যে, বয়স কম বললে তাদেরকে দেখতেও কম বয়সী দেখাবে। আর এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেক নারী বয়স লুকিয়ে থাকেন।

পুরুষের মন পাওয়া : পছন্দের পুরুষের মন পাওয়ার ইচ্ছা নারীর গোপন বাসনা। আর তাই তারা ভাবেন নিজের বয়স কমিয়ে বললে পুরুষের মন পাওয়া বেশ সহজ হবে এবং পুরুষের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় হতে পারবেন। আবার অনেক সময় নিজের চাইতে বয়সে ছোট পুরুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যও নারীরা সঠিক বয়সটা বলতে চান না।

পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষা : সমাজে একটি প্রচলিত বিষয় হলো, মা-দিদিমারা তাদের সন্তানদের আসল বয়স বলতে মানা করেন। তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে নানান রকম কুসংস্কার কাজ করে। আর তাই মেয়েরা বড় হতে হতে এই বিষয়টি নিজের মনে গেঁথে রেখে দেয়। ফলে তারা তাদের সঠিক বয়সটি কাউকে বলতে চায় না।

বুড়িয়ে যাওয়ার ভয় : অধিকাংশ নারীর মনে সাধারণ একটি ফোবিয়া থাকে। আর তা হলো, বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়। বয়স কম দেখাতে তারা নানান রকম রূপচর্চা, প্লাস্টিক সার্জারি এবং যোগ ব্যায়াম করে থাকেন। আর নিজের সঠিক বয়সটাও বলতে চান না মানুষকে।

হিংসা : নিজের পরিচিত কোনো কম বয়সী সুন্দরী নারীর পাশে থাকলে অধিকাংশ নারীই নিজের বয়স লুকাতে চান। হিংসা থেকেই হোক আর নিরাপত্তাহীনতা থেকেই হোক এই প্রবণতাটি কম বেশি বেশ কিছু নারীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়।

চাকরি : চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকসময় বয়স সীমা নির্ধারণ করা থাকে। আর এই বয়সের ভিতরে থাকার জন্য অনেক নারীই নিজের প্রকৃত বয়সটি লুকানোর চেষ্টা করেন।