‘শিশুর বিকলাঙ্গতা রোধে গর্ভবতী নারী যা খাবেন’
গর্ভের সন্তানটি সুস্থ অবস্থায় পৃথিবীর আলো দেখুক তা সকলেই চান৷ আর সেজন্য গর্ভবতী নারীর প্রয়োজন প্রচুর ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিনযুক্ত খাবার৷ জেনে নিন কোন খাবারে এসব রয়েছে৷
ফলিক অ্যাসিড আসলে কী ?
ফলিক অ্যাসিড এক ধরণের ভিটামিন ‘বি’ যা গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷ যারা গর্ভবতী হতে চান বা মাত্র গর্ভধারণ করেছেন ডাক্তাররা তাদের ফলিক অ্যাসিড বা ফলেট ভিটামিন খেতে বলেন৷
কখন শুরু করা উচিত?
অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি গর্ভধারণের প্রথম তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়৷ তাই গর্ভবতী হওয়ার একেবারে শুরুতেই ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা অনেক কমে যায়৷
আরো যা গুরুত্বপূর্ণ
গর্ভবতী নারীর খাবারে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব হলে অনাগত শিশুর রক্তস্বল্পতা ও হাড় গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তাছাড়া যথেষ্ট আমিষের অভাবে শিশুর মানসিক প্রতিবন্ধিত্বও দেখা দিতে পারে৷ তাই হবু মায়ের যথেষ্ট ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত৷
যে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে
সকালে খালি পেটে ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়৷ তবে কিছু ওষুধও কিন্তু ফলিক অ্যাসিডের গুণ খানিকটা কেড়ে নিতে পারে৷ সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷ তাছাড়া আলো এবং গরমের কারণেও ফলেটের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়৷ তাই খাবারের পুষ্টিগুণ পুরোটা পেতে সবজি ও ফল কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ অবস্থায় খাবেন৷
আরো যাতে পাওয়া যাবে…
শষ্যদানা, দুধ বা দুধের তৈরি খাবার, ডাল, শিম, যে কোনো ধরণের কপি, মটরশুটি, পালংশাক, টমেটো, কমলালেবু বা শিম জাতীয় সবজিতে রয়েছে প্রচুর ফলেট৷ স্যামন মাছেও পাবেন ফলেট, তবে মাছ ভালোভাবে সেদ্ধ বা ভাজি হতে হবে৷ ভেতরে কাঁচা থেকে যাওয়া মাছে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে৷
টমেটো কিংবা লাল ক্যাপসিকাম
মাত্র ১০০ গ্রাম টমেটোতে পাওয়া যাবে ৩৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট৷ তবে ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি লাল ক্যাপসিকামে কিন্তু রয়েছে ৮৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট৷ তাছাড়া আম বা কলাতেও যথেষ্ট ফলেট থাকে৷ সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে গর্ভবতী নারীর জন্য এই পরামর্শগুলো দিয়েছেন জার্মানির পুষ্টি সোসাইটির আনট্যে গাল৷ -সূত্র : ডিডাব্লিউ