৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

নিমেষে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায় এই ১০টি উপাদান

১. দারুচিনি
যখনই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, তখনই অল্প করে দারুচিনি খেয়ে নেবেন। দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগবে না। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদনটিতে থাকা একাদিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তেমনি পেটের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ঠিক মতো হজম না হওয়ার সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে অল্প করে দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা খেলে দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।

২. অ্যালোভেরা
এতে থাকা নানাবিধ খনিজ একদিকে যেমন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরায় থাকা অ্যাসিড, স্টমাকে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের কর্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৩. ডাবের পানি
গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে থাকা অতিরিক্ত অ্যাসিডকে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই তো অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৪. গুড়
শুনতে অবাক লাগলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে বাস্তবিকই এই খাবারটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ইন্টেস্টাইনের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে, দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে এবং স্টমাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো গরম কালে বেশি করে গুড়ের সরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৫. রসুন
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করে। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

৬. মৌরি
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যাসিডিটির প্রকোপ কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে মৌরিতে থাকা বিশেষ এক ধরনের তেল পাকস্থলির কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজম এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না।

৭. লস্যি
শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার পাশপাশি এই পানীয়টি স্টামাক অ্যাসিডের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে এমন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস বাটার মিল্ক খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে। এক্ষেত্রে বাটার মিল্ক বানানোর সময় তাতে দই এবং অল্প করে লবণ মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। আসলে এমনটা করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৮. খাবার সোডা
মাঝে মধ্যেই কি অ্যাসিডিটির সমস্যায় হয়ে থাকে? তাহলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে সেই পানি পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রনটি পান করলে দেখবেন আর কোনও দিন অ্যাসিডিটি হবে না। আসলে এই পানীয়টি অ্যান্টাসিডের কাজ করে থাকে। এই কারণেই তো এমন ধরনের সমস্যা কমাতে এই উপাদানটিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৯. তুলসি পাতা
একেবারে ঠিক শুনেছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুন কাজে আসে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে অ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে এমন রোগের প্রকোপ কমাতে ৩-৫ টি তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে, সেই পানি ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন চোখের পলকে অ্যাসিডিটি কমে যাবে।

১০. বাদাম
আপনি কি প্রায়শই অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩ টি বাদাম খেয়ে নিতে ভুলবেন না। কারণ এমনটা করলে এমন ধরনের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে। আসলে বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং অ্যালকেলাইন কমপাউন্ড, যা স্টমাক অ্যাসিডিটির জন্য দায়ি অ্যাসিডদের ক্ষতি করার ক্ষমতা একেবারে কমিয়ে দেয়। ফলে গ্যাস-অম্বলের কষ্ট কমতে সময় লাগে না।

Comments

comments