১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

বাড়ছে কি পিঠ-কোমরের ব্যথা? সাবধান..

বয়সের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাড়তে থাকে রোগও। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে। তিরিশের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় নানা সমস্যা। ঘরে ঘরে দেখা দেয় ব্যারাম। অস্টিওপোরোসিস। এমন এক রোগ যা ধীরে ধীরে শেষ করে দিতে পারে আপনার শরীরকে। সাবধান করছেন কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জন ডা. সন্তোষ কুমার। লিখছেন মৌশাখী বোস। বয়সকালীন সমস্যার মধ্যে অন্যতম অস্টিওপোরোসিস। পুরুষের থেকে মহিলারাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এর প্রধান সমস্যা অল্প আঘাতেই হাড় ভাঙা বা চিড় ধরা। তবে সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করলে এই ডিজেনারেটিভ অসুখ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্য প্রথমেই যা জানান দরকার তা হল-

অস্টিওপোরোসিস কী?
ইংরেজিতে অস্টিও কথার অর্থ হাড়। পোরস অর্থাৎ ছিদ্র। এই রোগে হাড়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ছিদ্রের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। যার ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তাই অল্প চোট-আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মহিলা ও সত্তরোর্ধ্ব পুরুষ অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হন।

উপসর্গ-
অন্যান্য অর্থোপেডিক সমস্যায় যেমন কিছু প্রাথমিক উপসর্গ দেখে রোগ শনাক্তকরণ করা যায় এক্ষেত্রে কিন্তু কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। এই অসুখের প্রথম লক্ষণই হল অল্প আঘাতে পিঠ, কোমর কিংবা কবজির হাড়ে ফ্র‌্যাকচার হওয়া।

কখন ঝুঁকি-
দীর্ঘদিন স্টেরেয়ড জাতীয় ওষুধ খেলে।
রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিস থাকলে।
অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপানে অভ্যস্ত হলে।
নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে।
ভিটামিন ডির অভাব থাকলে।
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না খেলে।

কেমন জটিলতা-
অস্টিওপোরোসিসের প্রধান সমস্যা কোমরের হাড় ফ্র‌্যাকচার। সাধারণত রাতে ঘুমানোর সময় অসাবধানতাবশত মুভমেন্ট হলে কিংবা বাথরুমে পড়ে গেলে অল্প আঘাতেই কোমরের হাড় ভেঙে যায়। একে নেক ফিমার ফ্র‌্যাকচার বলে। এছাড়া কোমর ও পিঠের হাড় চেপে যেতে পারে। যার দরুণ মানুষ কুঁজো হয়ে যায়।

রোগ নির্ণয়-
অস্টিওপোরোসিস শনাক্তকরণের আদর্শ পরীক্ষা ডেক্সা স্ক্যান। এছাড়া রক্তে ক্যালসিয়ামের ও ভিটামিন B-এর মাত্রা নির্ধারণ করে এবং বোন মিনারেল ডেনসিটি (বিএমডি) পরীক্ষা করে অস্টিওপোরোসিসের অবস্থা বোঝা যায়।

চিকিৎসা-

এর প্রধান চিকিৎসা প্যারাটয়েড হরমোন থেরাপি। এছাড়া পিঠ ও কোমরের হাড় বসে গেলে বেলুন কাইফোপ্লাস্টি করে হাড় সোজা করা হয়। তবে অনেক সময় কবজি, পা কিংবা কোমড়ের হাড় ফ্র‌্যাকচার হলে তা সার্জারি করে রিপেয়ার করার ব্যবস্থা করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একাধিক সার্জারির প্রয়োজন হয়।

জরুরি বিষয়-
অনেক সময় অস্টিওপোরোসিসের জন্য রোগী কুঁজো হয়ে যান এবং পিঠ-কোমরে ব্যথা হয়। ব্যথা কমার ওষুধ খেলে ব্যথা আরও বেড়ে যায় এবং স্টেরয়েড থাকার জন্য হাড় আরও ভঙ্গুর হয়।
রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসে দীর্ঘদিন ওষুধ খেলে কিংবা স্টেরয়েড নিলে বোন ডেনসিটি টেস্ট করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দুধ, ছোট মাছ, ছানা, আটার রুটি, মাংস, ডিম, ফল, শাক-সবজি ও প্রচুর ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি।
পায়ে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো লাগাতে হবে।
বয়স হলে অযথা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করবেন না। আস্তে ধীরে চলাফেরা করুন।
আগে কোনও জায়গায় চোট লাগলে আরও সতর্ক থাকুন।
মহিলারা মেনোপজের পর অস্টিওপোরোসিসে বেশি আক্রান্ত হন, তাই সাবধান।
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।

Comments

comments