জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খান? তাহলে জানুন…
অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রুখতে নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খান। কিন্তু আপনি কি জানেন? এই বড়ি ব্যবহার শুধু আপনার জরায়ুর (ইউটেরাস) জন্য ক্ষতিকারক নয়, সার্বিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও যথেষ্ট হানিকারক।
যদিও অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রুখতে নারীরা বেশির ভাগ সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে থাকেন।
এটি নারীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক ঔষধ, বিশেষ করে যারা এমনিতেই সাধারণত অন্য সব রোগে ভুগছেন।
পিরিয়ড হয়নি?… জেনে নিন কেন
এই বড়িগুলোতে সাধারণত ইসট্রোজেন ও প্রোজেসটিন নামক হরমোন মিশ্রিত থাকে। এগুলো এমন উপাদান যা প্রাকৃতিক হরমোনের মত ব্যবহার করে। এই উপাদানগুলি একসঙ্গে মিলে ডিম্বাশয় (ওভারি) থেকে প্রতি মাসে ডিম বিমুক্তিতে বাধার সঞ্চার করে।
সঠিকভাবে এই কন্ট্রাসেপটিভ বড়ি খেলে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব, কারণ এতে গর্ভধারণে আশঙ্কা মাত্র ১%। কিন্তু এর সঙ্গে ডেকে আনে অজস্র অন্য সমস্যা।
বর্তমানে আপনি এই বড়ি খান বা না খান, প্রতি নারীর জানা উচিত এই বড়ি নিয়ে কিছু কথা..
পরামর্শ সর্বপ্রথম
জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি সব সময় ডাক্তারি পরামর্শে খাওয়া উচিত। ডাক্তার যেভাবে খেতে বলবেন সেভাবেই খাওয়া প্রয়োজন। এতে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলেও সহজেই সমাধান করা যাবে।
অসুখে ভুগছেন?
আপনার বয়স যদি ৩৫-এর ওপর হয় এবং মোটা বা স্হূলতাজনিত সমস্যা বা ডায়াবেটিসের স্বীকার হলে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অতি আবশ্যক কোনো প্রকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার আগে।
মুখে খাওয়ার বড়ি ও সাবধানতা
একটা তথ্য সব নারীদের বিশেষভাবে জানা উচিত যে, বড়ি শুধু গর্ভধারণ রোধের জন্য প্রযোজ্য। মুখে খাওয়ার এই বড়ি কোনো প্রকারের যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে না।
মাইগ্রেন
যারা মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগছেন বা সাইনাসের জন্য মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন তারা যখন তখন এই বড়ি খাবেন না। প্রয়োজনে কোনো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সদ্য হওয়া মা
ছয় মাসের মধ্যে সন্তান হয়েছে এমন মায়েরা এবং যারা এখনও সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তারা এই বড়ি ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এর ব্যবহার সন্তানের জন্যও ক্ষতিকারক এবং নিজের স্বাস্থ্যের জন্যও।
পিরিয়ডে রক্ত জমাট
নতুন নতুন যারা বড়ি ব্যবহার করছেন বা যারা নিয়মিত বড়ির ব্যবহার করেন, দুটি ঋতুচক্রের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা লক্ষ্য করবেন। চিন্তার কিছু নেই, এটি বেশ স্বাভাবিক।
সন্তানের খূঁত
প্রচুর লোক জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িকে দোষী সাব্যস্ত করে সন্তানের খূঁতের জন্য। আপনার জানা দরকার যে, এইসব বড়ির সন্তানের স্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না।
চর্বি যুক্ত টিস্যু
একটি অতি প্রয়োজনীয় তথ্য এই বড়ি সম্পর্কে, সেটি হলো এর ব্যবহার আপনাকে মোটা বানায় না। যদিও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তবে মোটা হওয়া তার মধ্যে পড়ে না।
ব্রেস্ট ক্যান্সার
বহু নারীর ধারণা, ব্রেস্ট ক্যান্সারের সূত্রপাতের অন্যতম কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির সঙ্গে ক্যান্সারের কোনো সম্বন্ধ নেই।
রক্ত জমাট
যদি আপনার পরিবারে রক্ত জমাট বাঁধার ইতিহাস থেকে থাকে, তবে কোনো প্রকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার না করাই উচিত।