দাম্পত্য জীবন সুখী করার পরামর্শ
দাম্পত্য জীবনে সুখ আনতে কী করেন দম্পতিরা?’ এই প্রশ্নটি কি কারো মনে এসেছে কখনো? আসতেই পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার অনেক মূল মন্ত্রই রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো একজন আরেকজনকে বোঝা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। যে সব দম্পতির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়ে থাকে। আপনি কী জানতে চান সুখী দম্পতিদের বিষয় বস্তু। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক-
১) বিশ্রী কোনো পরিস্থিতিতে পড়ার মুহূর্ত সম্পর্কে : মানুষ অনেক সময় বিশ্রী বা লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। কিন্তু সেই সব মুহূর্তের কথা কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না। এই মুহূর্তগুলো শুধু নিজের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গীর সঙ্গেই শেয়ার করা সম্ভব। এতে একে অপরের কিছু হাস্যকর, লজ্জাকর বিষয় নিয়ে কথা বলে মন হালকা এবং মানসিক চাপ মুক্ত থেকে সম্পর্কটিকে গভীর করা সম্ভব।
২) ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিগুলো : আপনি যে বিষয়গুলো ভয় পান এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তা অন্য কারো কাছে প্রকাশ করলে আপনি নিজের দুর্বল জায়গাটি দেখিয়ে দিলেন যাতে মানুষ ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আপনার সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করেন তখন তিনি আপনাকে এবং আপনার মনমানসিকতা বুঝে সেই মুহূর্তে আপনাকে আগলে রাখতে পারবেন।
৩) নিজের ছোটবেলা : অনেকেরই নিজের ছোটবেলা সম্পর্কের অনেক কথা বার্তা অন্যকে বলা সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু নিজের সঙ্গীর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে সম্পর্কে আসবে গভীরতা। একজন অন্যজনের ছোট্টবেলার সেই নিষ্পাপ কথাগুলো শুনে সঙ্গীর আসল মানসিকতা সামনে চলে আসবে।
৪) পরিবার সম্পর্কিত কথা : দুজনের মাধ্যমে যে পরিবারটি গড়ে উঠেছে সেই পরিবার সম্পর্কে নানা কথা বার্তা যদি দুজনের আলোচনায় উঠে আসে তাহলে প্রত্যেকের পরিবার সম্পর্কে মায়া মমতা ও দায়িত্বতা প্রকাশ পায়। এতে করে দুজনের চোখে দুজনের সম্মান বাড়ে।
৫) একজন অপরজনের পছন্দের কথা : রাজনীতিতে কে কাকে পছন্দ করেন, খেলাধুলায় কে কোন দল কিংবা নাটক সিনেমায় কাকে কার বেশি পছন্দ এই নিয়ে আলোচনা করেন তারাই যারা একটি সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করেন। এই ছোটোখাটো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এবং পছন্দের বিপরীতে অবস্থান করলে সামান্য খুনসুটি দাম্পত্য জীবনকে আরও মধুর করে তোলে।
৬) ভবিষ্যতের কথা : দাম্পত্য জীবনে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা। ভবিষ্যতের কোনো প্ল্যান দুজনে একসঙ্গে তৈরি করা। এতে করেই সম্পর্কে গভীরতা বাড়ে এবং দাম্পত্য জীবনে একজন অপরজনের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। এতে সুখী হন দম্পতিরা।