বগলের কালো ছোপ দূর করবেন কীভাবে?
নিয়মিত ওয়াক্সিং, শেভিং বা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম ব্যবহারের ফলে বাহুমূলে কালো ছোপ পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এদিকে স্লিভলেস বা অফ শোন্ডার পোশাক পরার সবথেকে প্রথম শর্ত মসৃণ ছোপবিহীন বাহুমূল। কিন্তু কালো ছোপের কারণে অনেকেই পছন্দের পোশাক পরার কথা ভেবেও পিছিয়ে আসেন। জেনে নিন বগলের কালো ছোপ তোলার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।
* কেসর- কেসরের মধ্যে স্বাভাবিক উপায়ে ত্বকের রঙ হালকা করার গুণ রয়েছে। যেকোনও হালকা লোশন ২ টেবিল চামচ নিয়ে এক চিমটি কেসর মেশান। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে কালো ছোপ ধরা অংশে লাগিয়ে নিন। শুধু কালো ছোপ দূর হবে না, দুর্গন্ধও কমাতে পারে কেসর।
* আপেল- আপেল থেঁতো করে যদি নিয়মিত বাহুমূলে লাগাতে পারেন তবে অবশ্যই কমবে কালো ছোপ। কমবে দুর্গন্ধও।
* কমলার খোসা- ব্লিচ করে ত্বকের রঙ হালকা করার উপাদান সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে কমলার খোসার মধ্যে। ৩ থেকে ৪ দিন রোদে রেখে কমলার খোসা শুকিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ শুকনো খোসা গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে বগলের কালো হয়ে যাওয়া অংশে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
* নারকেল তেল- রূপচর্চায় নারকেল তেলের কোনও তুলনাই হয় না। যদিও নারকেলের তেলের প্রভাবে কালো ছোপ কমতে সময় নেবে। তবে প্রতিদিন গোসলের আগে যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিট নারকেল তেল মাসাজ করতে পারেন তবে অবশ্যই কালো ছোপ কমে যাবে।
* লেবু- ব্লিচ হিসেবে লেবুর উপকারিতা কারও অজানা নয়। প্রতিদিন বগলে লেবু ঘষলে কালো ছোপ দূর হবে। তবে লেবুর প্রভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই লেবু লাগানোর পর বডি লোশন বা ময়শ্চারাইজার অবশ্যই লাগাবেন। অ্যান্টিসেপটিক গুণও রয়েছে লেবুর।
* দুধ- লেবুর মতোই উপকারী দুধ। ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল হয়, সাস্থ্যজ্জ্বল দেখায়। প্রতিদিন একবার করে বগলে দুধ লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* শশা- চোখের তলার কালি থেকে বগলের কালো ছোপ, সবকিছুতেই শশা অপরিহার্য্য। শশার টুকরো কালো অংশে ঘষতে থাকুন। শশা ত্বককে ব্লিচ করবে ও কিছুক্ষণ আর্দ্র রাখবে।