যেসব কারণে চুম্বন আপনার জন্য ভালো!
চুম্বন শুধুমাত্র কারও প্রতি ভালোবাসা, আবেগ প্রকাশেরই মাধ্যম নয়। চুম্বনের এই কাজটি থেকে আমাদের শরীর পায় বেশ কিছু উপকার। আপনি হয়তো শুনেছেন চুম্বন ওজন কমাতে, ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। কিন্তু এর উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। দেখে নিন চুম্বনের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা জানা গেছে গবেষণা থেকেই।
১) দাঁতের জন্য ভালো
কাউকে চুমু দেওয়ার সময়ে মুখে লালা উৎপন্নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এতে দাঁত থেকে ধুয়ে যায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। এটা প্লাক জমে যাওয়ার ব্যাপারটাকেও বাধা দেয়।
২) ক্যালোরি পোড়ায়
না, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর মতো ক্যালোরি পোড়ানো যাবে না চুমুর মাধ্যমে। কিন্তু মিনিটে ২-৬ ক্যালোরি পোড়ানো যাবে ঠিকই। এতে আপনার মেটাবলিক রেটও বাড়ে।
৩) ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করে
এটা ঠিক যে চুম্বনের ফলে দুজনে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যায় জীবাণু। বিশেষ করে সাইটোমেগালোভাইরাস, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু গর্ভ ধারণের আগেই চুম্বনের মাধ্যমে একটু একটু করে তার শরীর যদি এই ভাইরাসে অভ্যাস্ত হয়ে যায়, তবে তার শরীরে গড়ে উঠবে এই ভাইরাস ঠেকানোর ব্যবস্থা। ভাইরাসটির প্রতি এই ইমিউনিটি তার সন্তানের মাঝেও সঞ্চারিত হতে পারে। তবে কাউকে দেখে যদি বোঝাই যায় যে সে অসুস্থ, তাহলে তাকে চুমু না দেওয়াই ভালো। এতে বেশ কয়েক ধরণের রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
৪) স্ট্রেস কমায়
চুম্বনের পরে আপনার শরীর ও মনে যে ফুরফুরে, হালকা অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে এটা শুধুই আবেগ নয়। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, চুম্বনের পর শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের পরিমাণ কমে যায়। শুধু প্রেমিক বা প্রেমিকার হাত ধরে থাকলেও এভাবে স্ট্রেস কমে, কিন্তু এতো বেশি মাত্রায় স্ট্রেস কমে না যতটা চুম্বনের ফলে কমতে দেখা যায়।
৫) মুখের পেশিকে সুস্থ রাখে
চুম্বনের সময়ে মুখের ৩০টি পেশি ব্যবহৃত হয়। এতে আপনার এই পেশীগুলো সুস্থ ও সচল থাকে, গাল ও চোয়াল থাকে টানটান।
৬) জীবনসঙ্গী নির্বাচনে সাহায্য করে
কিছু গবেষক মনে করেন, চুম্বন হলো একটা জৈবিক প্রবৃত্তি যা আমাদেরকে সাহায্য করে এমন জীবনসঙ্গী নির্বাচনে, যে জিনগত দিক দিয়ে আমাদের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত। এ কারণে প্রথমবার চুম্বন থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় ওই মানুষটি আমাদের জন্য ঠিক না বেঠিক।