গর্ভবতীরা যে ৭ ভুল করেন
গর্ভবতীরা প্রায় সময়ই কয়েকটি সাধারণ ভুল করেন। এ ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ধরে রাখা সম্ভব। সে ধরনের কয়েকটি ভুল ধরা হলো।
১) অসুস্থতা মনে করা : গর্ভাবস্থা মূলত অসুস্থতা নয়। তবে এ সময় বাড়তি যত্ন প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজেকে অসুস্থ বলে মনে করেন এবং শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে থাকেন তাহলে তা ক্ষতি করবে। গর্ভাবস্থায়ও শরীর সচল রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ কারণে স্বল্পমাত্রায় শারীরিক কার্যক্রম যেমন চালাতে হবে তেমন স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে। এছাড়া কিছু খাবার ও ওষুধপত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
২) অতিরিক্ত বা কম খাওয়া : বহু নারীই গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার খান। অনেকে আবার প্রয়োজনের অতিরিক্তও খাবার খান। এ উভয় বিষয়ই গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। অনেক নারীর ওজন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। এ কারণে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
৩) যৌনতা বাদ দেওয়া : যৌনতা স্বাভাবিক বিষয়। এটি গর্ভাবস্থাতেও বাদ দেওয়া উচিত নয়। অনেকেই ভুল ধারণা করে এটি বাদ দিয়ে দেন। তবে পুরো গর্ভাবস্থাতেই যে যৌনতা করা যাবে তা নয়। চিকিৎসকই জানিয়ে দেবেন, কোনো সময় যৌনতা করা যাবে এবং কোনো সময় করা যাবে না।
৪) টিকা না নেওয়া : গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টিকা নিতে দেরি করা যাবে না। এটি সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
৫) শারীরিক অনুশীলন : সুস্থ গর্ভধারণের জন্য কিছু শারীরিক অনুশীলন রয়েছে। এ অনুশীলনগুলো অনেক নারীই করতে চান না। তবে এসব অনুশীলনে ভয়ের কিছু নেই। কারণ এ অনুশীলনগুলো পেটের মাংসপেশিকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এবং সন্তান ধারণে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যথাযথ শারীরিক অনুশীলন করা বাদ দেওয়া উচিত নয়।
৬) অতিরিক্ত ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট : অনেক গর্ভবতী যেমন সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট খেতে চান না তেমন অনেক নারী আবার অতিরিক্ত ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট সেবন করেন। উভয় বিষয়ই ক্ষতিকর। এ কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত। মনে রাখতে হবে, বাড়তি ডোজ যেমন ক্ষতিকর হতে পারে তেমন প্রয়োজনের তুলনায় কম ডোজও ক্ষতিকর।
৭) জিকা ভাইরাসের ঝুঁকি : জিকা ভাইরাসে বর্তমান বিশ্বের বহু নারী আক্রান্ত হচ্ছেন। গর্ভবতী নারীই বেশি এই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ ভাইরাসে গর্ভবতীরা আক্রান্ত হলে শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত যেন মশা না কামড়ায়। এ কারণে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ভ্রমণেও সতর্ক থাকা উচিত।