ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন ‘ই’
সৌন্দর্য চর্চার উপাদান হিসেবে ভিটামিন ই অন্যতম। কারণ এই ভিটামিন ত্বক আর্দ্র রাখতে পারে। আর রয়েছে বার্ধক্য ঠেকানোর উপাদান। পাশাপাশি যৌনস্বাস্থও ভালো রাখে।
শুধু খেয়ে নয়, সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলেও জাদুর মতো কাজ করে ভিটামিন ই। কয়েকটি রূপচর্চা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর করা প্রতিবেদন থেকে তথ্য নিয়ে এই ভিটামিনের বিভিন্ন উপকারী দিকগুলোর একটা তালিকা এখানে দেওয়া হল।
বলিরেখা: ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতি কমাতে এবং বলিরেখা দূর করতে ভিটামিন ই তেল খুব ভালো কাজ করে। এটা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সুস্থ করতে ও ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে পারে।
দাগ: ভিটামিন ই উচ্চ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটা ত্বকের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে।
বিরক্তিকর দাগ কমাতে চাইলে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে, সেটা ত্বকের দাগের উপর সরাসরি ব্যবহার করুন। এটা কোলাজেন’য়ের উৎপাদন বাড়ায় এবং দ্রুত দাগ কমাতে সাহায্য করে।
হাইপারপিগমেন্টেশন: শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় কোনো একটি নির্দিষ্ট অংশে মেলানিন’য়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেখানে রংয়ের অসমতা দেখা দেয়। ভিটামিন ই খাওয়া ও ত্বকে ব্যবহার করা হলে তা আক্রান্ত স্থানে বেশ ভালো কাজ করে ও কালচে রং হালকা হালকা করতে সাহায্য করে।
শুষ্ক হাত: যদি সবসময় শুষ্ক হাতের সমস্যায় ভোগেন তাহলে আর্দ্রতা ফিরে পেতে ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করুন।
ক্যাপসুলটি কেটে সরাসরি হাতে লাগান, এতে আর্দ্রতা ফিরে আসবে এবং নিয়মিত ব্যবহাতে তারুণ্য ফুটে উঠবে।
ঠোঁট ফাটা: ঠোঁট ফাটা সমস্যা দূর করতে লিপ বামের পরিবর্তে ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করুন। এটা সারাদিন ত্বক আর্দ্র রাখবে। তাছাড়া নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
সূর্য-রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি: ভিটামিন ই ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যকর নতুন কোষের সৃষ্টি করে। সূর্য-রশ্মির কারণে হওয়া অতিরিক্ত ক্ষতি পূরণ করতে পারে। বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকে প্রথমে ভিটামিন ই ক্যাপ্সুলের তেল লাগান। তারপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অথবা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটা ত্বকের ক্ষয় পূরণে সাহায্য করবে।
চুল পড়া: প্রতিদিন চুলের ফলিকল্স নানা রকমের ঝক্কি সামলায়, বিশেষ করে দূষণের জন্য। ফলে চুল পড়ে এবং চুলের ঘনত্ব কমে যায়।
সমপরিমাণ নারিকেল ও ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার মাথার ত্বকে মালিশ করুন। এটা চুল পড়া কমাবে ও চুলের সার্বিক যত্ন নেবে।
শুষ্ক মাথার ত্বক ও খুশকি: ভিটামিন ই’য়ের পুষ্টি উপাদান মাথার ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং দৈনন্দিন সমস্যা ও খুশকি দূর করে। এই তেল ত্বকের গভীরে পৌঁছে আর্দ্রতা যোগায় এবং দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।