১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

ফুসফুসের ক্যান্সারের উপসর্গের বিষয়ে জানুন

মারাত্মক ধরণের ক্যান্সারের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার অন্যতম। সাধারণত ৭০ বছর এর চেয়ে বেশি বয়সের মানুষদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। কিন্তু যারা কখনোই ধূমপান করেননি তাদের ও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে।

প্রাথমিক অবস্থায় তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ করেনা ফুসফুসের ক্যান্সার। এটি আস্তে আস্তে বহু বছর ধরে তৈরি হতে থাকে। লক্ষণ যখন প্রকাশ পেতে থাকে ততদিনে রোগটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলো জেনে নেব এই ফিচারে।

১। দীর্ঘমেয়াদী কাশি

কাশি যদি স্বাভাবিকভাবে চলে না যায়, দুই থেকে তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে এবং কাশির সময় যদি বুকে ব্যথা হয় তাহলে সেটি ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে হতে পারে।

২। কাশির সাথে রক্ত গেলে

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত কিছু রোগীর শ্লেষ্মার রঙ মরিচার মত হয় যা রক্তকে চিহ্নিত করে। এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের বিপদ সংকেতকে প্রকাশ করে।

৩। শ্বাসকষ্ট

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শব্দ হওয়া অথবা বুক ভারী মনে হওয়া এই সবগুলো ফুসফুসের রোগের সাধারণ লক্ষণ। এগুলো অন্তর্নিহিত ফুসফুসের ক্যান্সারকেই নির্দেশ করে।

৪। চেহারার ও কন্ঠের পরিবর্তন

চেহারায় ও কন্ঠে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ করা যায় ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে। কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যায় এবং চেহারা ফুলে যায়। হাত এবং ঘাড় ও ফুলে যেতে পারে।

৫। ইনফেকশনের পুনরাবৃত্তি হওয়া

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংকটাপন্ন হওয়ায় এবং এনার্জি কমে যাওয়ার কারণে এই রোগীদের অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগ যেমন ব্রংকাইটিস বার বার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে বুকে অস্বাভাবিক তরল জমা হয় যাকে নিউমোনিয়া বলে। নিউমোনিয়াও ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে। যদি কারো দীর্ঘমেয়াদী অ্যাজমার সমস্যা থাকে এবং এর সাথে নতুন করে জন্ডিস, হৃদরোগ ইত্যাদির লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তা ফুসফুসের ক্যান্সারকেই নির্দেশ করে থাকে।

ফুসফুসের ক্যান্সার এডভান্স লেভেলে পৌঁছে গেলে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ করে তা হল :

অস্থিতে ব্যথা – ফুসফুসের ক্যান্সার যখন শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তখন অস্থিসন্ধিতে, পিঠে ও কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কিছু ক্ষেত্রে কোন আঘাত বা দুর্ঘটনা ছাড়াই হারে ফাটল দেখা দিতে পারে।

স্নায়বিক উপসর্গ – ক্যান্সার কোষ স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছালে স্নায়বিক কাজের পরিবর্তন দেখা দেয়। এর ফলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘুরানো, হৃদরোগ, ভারসাম্যের সমস্যা, আচরণের পরিবর্তন এবং হাত-পায়ের অসাড়তার উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

শরীর ফুলে যাওয়া – এই রোগের পরবর্তী পর্যায়ে ঘাড়ের ও গলার এবং মুখের লসিকা গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠে। লসিকা গ্রন্থি বা লিম্ফ নোড হচ্ছে আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে থাকা ইমিউন কোষ। শরীরের উপরের অংশ যেমন- ঘাড়, মুখ ও বাহুতে কোন ধরণের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ফোলা দেখা গেলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও অন্য রোগের লক্ষণ ও হতে পারে। তাই লক্ষণ মিলে গেলেও তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর কোনটি দেখা দেয়া মাত্র দ্রুত ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন।

Comments

comments