সামান্য অ্যালকোহল সেবনেও হতে পারে ৭ ধরনের ক্যান্সার
মানবদেহে মোট সাত ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য অ্যালকোহল সরাসরি দায়ী বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। নতুন এই গবেষণায় দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে কম মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন করলেও দেহে সাত রকমের ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘অ্যাডিকশন’ নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে। এতে বলা হয়েছে, অ্যালকোহলের সঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার একটি পরিসংখ্যানগত সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন বিভাগের গবেষক জেনি কনোর বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার সরাসরি সম্পর্ক আছে- এ বিষয়ে এখন যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে।
গবেষণাটি অনুমোদন দিয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরাও। তাদের মতে, অ্যালকোহল এবং ক্যান্সারের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক আছে, এ নিয়ে লোকজনের অজ্ঞতা দূরীকরণে মন্ত্রীদের এখনই প্রচারাভিযান শুরু করা উচিত। নতুন এই গবেষণা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবনকারীদের অ্যালকোহলমুক্ত দিন কাটাতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করেন তারা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর গবেষণায় দেখা যায়, নারীদের স্তন ক্যান্সার ছাড়াও মলাশয়ের ক্যান্সার, যকৃতের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের জন্য অ্যালকোহল দায়ী। এছাড়া ত্বকের ক্যান্সার, মূত্রথলির ক্যান্সার এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের জন্যও অ্যালকোহল দায়ী বলে সম্প্রতি জোর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল।
কনোর বলেন, ‘শরীরের সাতটি কিংবা তার বেশি অংশে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য অ্যালকোহল দায়ী হওয়ার শক্ত প্রমাণ এখন আমাদের হাতে আছে। শরীর সম্পর্কিত সম্পূর্ণ জ্ঞার ছাড়াই এখন বলে দেয়া যায়, কণ্ঠনালীর ক্যান্সার, স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার, যকৃতের ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার, মলদ্বারের ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের জন্য অ্যালকোহল দায়ী।
এক্ষেত্রে নিয়মিত যারা মদপান করেন তাদের ঝুঁকিটা একটু বেশি বলে জানান কনোর। গত ১০ বছর ধরে বিশ্ব ক্যান্সার গবেষণা ফান্ড, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন কনোর এবং তার দল।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ প্রকার ক্যান্সারের সন্ধান পেয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।