যেমন স্বামী চান মেয়েরা
নিজের যত কাজই থাকুক না কেন, স্ত্রীকে কিন্তু রোজ সকালে অফিসে নামিয়ে দিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ঘর-গৃহস্থালির কাজ যেমন বাজার, রান্নাবান্না থেকে কাপড় ধোয়া পর্যন্ত স্ত্রীর পাশে সমান দায়িত্ব পালনের মানসিকতা থাকতে হবে।
নইলে কিন্তু কপালে বউ জুটবে না। আর জুটলেও বিড়ম্বনার শেষ থাকবে না। কারণ, স্বামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ ধরনের পুরুষরাই নারীদের প্রথম পছন্দ!
সম্প্রতি ভারতম্যাট্রিমনি নামে বিয়ে-সংক্রান্ত একটি সংস্থার ম্যাচমেকিং জরিপে এ তথ্যই পাওয়া গেছে। কেমন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশগ্রহণকারী সিংহভাগ নারী সব ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন ও অফিসে নামিয়ে দিয়ে আসা মানসিকতার পুরুষদের পছন্দের তালিকায় রেখেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতম্যাট্রিমনি ১১ হাজার ৬৮২ জন নারী ও পুরুষের ওপর জরিপটি চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হয়েছিল সঙ্গী বা সঙ্গিনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো আপস করবেন? এ ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ পুরুষ বলেছেন, সঙ্গিনী যদি নিজে খুব ভালো আয় করেন, তাহলে তারা অনেক ক্ষেত্রেই আপস করতে রাজি আছেন। আর ৫৫ শতাংশ নারী বলেছেন, সঙ্গী যদি ভালো মনের হন, তাহলে তার অল্প বেতন পাওয়ার ব্যাপারটাকে ছাড় দেবেন। এতেই তারা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
কোন ক্ষেত্রে আপস নয়—এমন প্রশ্নের জবাবে ৬৫ শতাংশ পুরুষ বলেছেন, বিয়ের পর স্ত্রীর মা-বাবার সঙ্গে এক বাড়িতে থাকার ক্ষেত্রে তারা কোনোভাবেই আপস করবেন না। অন্যদিকে অধিকাংশ নারী বলছেন, বিয়ের পর নিজের ক্যারিয়ার ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে আপস করার প্রশ্নই ওঠে না।
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর জন্য আপনি কী করতে প্রস্তুত—জরিপে এমন প্রশ্নের জবাবে নারী-পুরুষ সবাই বলেছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা নমনীয় থাকার চেষ্টা করবেন। এ ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ নারী বলেছেন, যদি স্বামী রোজ সকালে তাকে অফিসে পৌঁছে দিয়ে না আসেন, তাহলেও সমস্যা নেই। তবে ঘর-গৃহস্থালির কাজের ব্যাপারে স্বামীর দায়িত্বহীনতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৮৫ শতাংশই প্রত্যাশা করেন, তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী সব ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করবেন। ৭৫ শতাংশ নারী বলেছেন, স্ত্রীর বাবা-মাকে সম্মান করার মানসিকতা থাকাটা হবু বরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর ৬৫ শতাংশ পুরুষের প্রত্যাশা, স্বামীর মা-বাবার যত্ন নেয়ার ব্যাপারে হবু স্ত্রীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।