খেজুরের অসাধারণ কিছু গুণ
খেজুর ছাড়া ইফতার করাটা প্রতিটি মুসলিমের কাছেই যেন অপূর্ণ থেকে যায়। ধর্মীয় গুরুত্ব বিচারে খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। মহিমান্বিত এই ফলের রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারী অনেক গুণাবলী। খেজুরে রয়েছে পানি, খনিজ পদার্থ, আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ভিটামিন ‘বি-১’, ভিটামিন ‘বি-২’ ও সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’।
পুষ্টিগুণ বিচারে শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। তাই খেজুরের অসাধারণ গুণাবলী সম্পর্কে দেখে নিতে পারেন।
– রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয়, যার কারণে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়। প্রতিদিন খেজুর খেলে গ্লুকোজের ঘাটতি মেটে।
– খেজুর খুব দ্রুত শারীরিক দুর্বলতা দূর করে স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
– গরম কিংবা ঠাণ্ডাজনিত জ্বর বা সংক্রামক জ্বর, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা এবং শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে খেজুর লড়াই করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হৃদরোগ ভালো হয়।
– খেজুরে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
– খেজুর রক্ত উৎপাদন করে শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ করে।
– খাবার হজম করতে সহয়তা করে, খাবারে রুচি বাড়ায়। খেজুরে ভিটামিন সি থাকায় চুল ও ত্বক ভালো রাখে।
– ফুসফুস সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসবের জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
– এ ফল প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠ কাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
সতর্কতা
ডায়বেটিক রোগীদের দিনে দুটোর বেশি খেজুর না খাওয়ায় ভালো।