ধমনীর বাঁধা দূর করুন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে
ধমনীর ভেতরের প্রাচীরে প্লাক জমা হলে ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ধমনীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রক্তের বিভিন্ন উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, কোলেস্টেরল, ফ্যাট, কোষীয় বর্জ্য ও ফাইবার ইত্যাদি জমে প্লাক সৃষ্টি হয়। এগুলো রক্ত জমাট বাঁধার সাথেও জড়িত। ধমনীতে প্লাক সৃষ্টি হলে মারাত্মক অসুস্থতা যেমন – হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ধমনীতে প্লাক জমলে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং ধমনী শক্ত ও সরু হয়ে যায়। ধমনী প্রাচীরে প্লাক জমার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে খারাপ কোলেস্টরল। ধমনীর প্রাচীরের এই বাঁধা দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপাদান অনেক কার্যকরী। আসুন তাহলে জেনে নিই ধমনীর বাঁধা দূর করার সবচেয়ে ভালো কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের কথা।
১। গ্রিন টি
গ্রিনটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা শুধু রক্তকে বিশুদ্ধ হতেই সাহায্য করেনা বরং খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। এক কাপ ফুটন্ত পানিতে ১ চামচ গ্রিনটি দিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর এটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। দিনে ৩-৪ বার পান করুন গ্রিনটি।
২। মাছের তেল
মাছের তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ সম্পন্ন। যা লিপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত নালীর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। ফিস ওয়েলের ক্যাপসুল খেতে পারেন দিনে দুইটা করে। প্রতিদিন এক টুকরো মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩। আমলকী
উচ্চ রক্ত চাপের কারণেও ধমনীর প্রাচীর শক্ত হয়ে রক্ত চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে। আমলকী ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ বলে ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করার মাধ্যমে হৃদপিন্ডকেই সুরক্ষিত রাখেনা বরং খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে এবং রক্ত চাপ কমতেও সাহায্য করে। ২ টি আমলকী কুচি করে কেটে নিয়ে এককাপ গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি ছাঁকা ছাড়াই পান করুন। আপনি চাইলে এর সাথে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪। হলুদ
হলুদে পলিফেনলিক যৌগ কারকিউমিন থাকে যার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ আছে। তাই এটি কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের জারণ কমায় এবং কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে রক্তনালীতে প্লাক জমা প্রতিরোধ করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধে ১ চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
৫। রসুন
রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে এবং রক্তকে পাতলা করার মাধ্যমে রক্তনালীতে প্লাক হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এজন্য প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া টুকরো করে কেটে নিয়ে পানি দিয়ে গিলে ফেলুন।