রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানবদেহকে নানাবিধ রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় ও সবল রাাখা উচিত। কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রা, বেজাল খাদ্য সহ নানা কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তবে প্রতিদিন কিছু সহজ কাজ করেই আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি।
আসুন জেনে নেই নিয়মিত কোন ধরনের খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:
– ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি জাতীয় সবজিতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় টমেটো, লেবু, নারকেল, পেয়ারা, কালোজামের মতো খাবার রাখুন।
– রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও রসুন খুব ভালো কাজ করে। কাঁচা অথবা অল্প সিদ্ধ রসুন নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। চাটনি বা সসের সাথে রসুন কুচি মিশিয়ে খেতে পারেন।
– ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ খান।
– জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ ও দই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুধ হজম না হলে দুধের তৈরি খাবার খান। দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম দই আর ১ কাপ দুধ খাবার চেষ্টা করুন।
– ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধে খুব সাহায্য করে। গাজর, টোমাটো, কুমড়া বেশি করে খান। সারাদিনে ১ কাপ গাজরের জুস খেতে পারলে দারুন উপকার পাবেন। গাজরের জুস দুধের থেকে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর।
– প্রিজারভেটিভ দেয়া খাবার ও রঙ মেশানো খাবার এড়িয়ে চলুন। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে।
– মধু ও দারচিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
– প্রতিদিন নিয়ম করে ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন । মনে রাখবেন যতই ভিটামিন ট্যাবলেট খান না কেন, প্রাকৃতিক খাবারের ভিটামিন অনেক বেশি কার্যকর হয়।
– আমলকীর সাথে অল্প আদা ও খেজুর বেটে নিন। ভিটামিন সিতে ভরপুর আমলকীর এই চাটনি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
– একই তেলে বার বার তৈরি ভাজাভুজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
– সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন। এছাড়া হারবাল চাও খেতে পারেন, কেননা তা শরীরকে নীরোগ রাখতে সহায়তা করে। সফট ড্রিঙ্ক কম খান।
– সালাদ ও মাছ-মাংসে ভিনেগারের বদলে লেবুর রস ব্যবহার করুন। চিনির বদলে মধু ও গুড় ব্যবহার করুন যা অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনকে কিছুটা মেটায়।
– খাবার পানি সর্বদা ফুটিয়ে পান করুন। অনিরাপদ পানি শরীরের নানান রকম সমস্যার প্রাথমিক উৎস।
– সপ্তাহে একদিন সয়া দুধের তৈরি ছানা বা সয়া আটার রুটি খান। সয়াবিন জাতীয় খাবারে এমন উপাদান থাকে যা ইস্টজেনের ঘাটতি পূরণ করে।