ঠাণ্ডা ও কফের সমস্যায় আরাম দেওয়ার পাশাপাশি এই ভেষজ পাতায় রয়েছে নানান উপকারিতা। তুলসি পাতার বিভিন্ন উপকারী দিক তুলে ধরা হলোঃ

* জ্বর সারাতে: অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর। তাই মৌসুমী রোগ এবং সংক্রমণ সারাতে বেশ সাহায্য করে তুলসি।

আধা লিটার পানিতে মুঠ তুলসি পাতা এবং খানিকটা দারুচিনির গুঁড়া ফুটিয়ে নিতে হবে, যতক্ষণ না পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে আসে। খানিকটা চিনি মিশিয়ে তিন ঘণ্টা পরপর এক চুমুক করে এই মিশ্রণ পান করলে জ্বর এবং ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

* ডায়বেটিক রোগীদের জন্য উপকারী: তুলসি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রাকৃতিক তেল করায়ফালিন, ইউজিনল এবং মেথিল নামক উপাদান। এগুলো অগ্নাশয়ের ‘বেটা সেল’ গুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা ইনসুলিন সংরক্ষণ এবং নিঃসরণ ঘটায়। এটি ইনসুলিনের তারতম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে আসে যা ডায়বেটিসের জন্য উপকারী।

* হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী: তুলসি পাতায় রয়েছে ইউজিনল নামক উপাদান যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এই উপাদান। প্রতিদিন খালি পেটে কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসবে।

* মানসিক চাপ কমায়: কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। স্নায়ু শিথিল করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী ফ্রি রেডিকলকে নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত অবসাদ এবং মানসিক চাপ অনুভূত হলে ১০ থেকে ১২টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন, উপকৃত হবেন।